সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৪নং কাদরা ইউনিয়নের নন্দীরপাড় গ্রামে বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এসে প্রবাসীর স্ত্রীকে (২২) ধর্ষণের ঘটনায় মামলার ৩নং আসামি মো. আইমুন ভূঁঞাকে (২৬) ১৩ দিন পর চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সি-বিচ এলাকা থেকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রেফতার করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আইমুন ভূঁঞা সেনবাগ উপজেলার ৪নং কাদরা ইউনিয়নের নন্দীর পাড় গ্রামের মো. মোস্তফার ছেলে।
জানা গেছে, গত ২০ আগস্ট রাত ৯টার দিকে ভুক্তভোগী নারী (২২) এক সন্তানের জননী গৃহবধূ তার বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে নন্দীরপাড় গ্রামে তাদের বাড়িতে যান। জন্মদিনের কেক কাটার পর স্থানীয় লেদু মিয়ার ছেলে ফরহাদের নেতৃত্বে ৫/৭ জন বখাটে ওই বাড়িতে এসে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আসা ওই গৃহবধূর সাথে রাজন নামে এক যুবকের সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ তুলে তাদেরকে ফরহাদের বিল্ডিংয়ে নিয়ে আটক করে। একপর্যায়ে বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
রাজন চাঁদা দিতে অস্বীকার করে বিভিন্ন জায়গায় ফোনে যোগাযোগ করলে কিছুক্ষণ পর রাজনকে ছেড়ে দেয়ার জন্য ফোন আসলে তারা রাজনকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু গৃহবধূকে আটকে রেখে কুপ্রস্তাব দেয় বখাটেরা। তাতে সে রাজি না হওয়ায় সন্ত্রাসী বখাটে ফরহাদ জোরপূর্বক তাকে ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার অপর সহযোগী আইমুন ভূঁঞাসহ কয়েকজন বাহিরে পাহারা দেয়। পরে তারাও ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে।
সেনবাগ থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, এ ঘটনায় ফাহাদকে প্রধান আসামিকে ৩ জনের বিরুদ্ধে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন নির্যাতিতা গৃহবধূ। ওই মামলার ৩ নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জাগরণ/এমআর