জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন করে আরও বেশ কয়েকটি এলাকা পানিবন্দি হয়ে পরেছে। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে সরোজমিনে দেখা যায়, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ি ও বকশীগঞ্জে ৬টি উপজেলায় ৩২টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পরেছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।
বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ৩ হাজার ৫৫০ হেক্টর ফসলের ক্ষেতসহ ভূমি, বসতবাড়ি, কাঁচা-পাকা সড়ক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঘরের ভেতর পানি উঠায় রান্না করা বন্ধ হয়ে গেছে। পানিবন্দি মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের চরম সংকট। বন্যা দুর্গত এলাকায় পানিবন্দি মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা পর্যাপ্ত থাকলেও চোখে পরার মত ত্রাণ বিতরণ এখনও দেখা যায়নি। দুর্গম চরাঞ্চলে এখনো মিলেনি সরকারি সহায়তা।
জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা মো, নায়েব আলী জানান, বন্যা দুর্গতদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্ত এলাকায় ১১২ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জাগরণ/এমআর