একটি সেতুর অভাবে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলার ১৫ গ্রামের মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তারা অবিলম্বে ডাউকি নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলার মধ্যে ডাউকি নদী অবস্থিত। নদীর একপাড়ে শান্তিগঞ্জের দরগাপাশা ইউনিয়নের বুরুমপুর গ্রাম। আর অন্যপাড়ে জগন্নাথপুরের কলকলিয়া ইউনিয়নের গলাখাল গ্রাম। সেতু না থাকায় ছোট নৌকায় করে ১৫ গ্রামের মানুষ নদী পার হন। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। তাছাড়া নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে।
স্থানীয়রা জানান, জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের গলাখাল, তেলিকোণাসহ প্রায় ৮টি গ্রাম এবং শান্তিগঞ্জের বাঘেরকোণা, বুরুমপুরসহ আরও ৬টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ নিত্যপ্রয়োজনে এই নদী পারাপার করে থাকেন।
শুষ্ক মৌসুমে নদীটি প্রায় শুকিয়ে গেলেও বর্ষা মৌসুমে তীব্র স্রোত বহমান থাকে। এ সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষজন নদী পারাপার করেন। বছরের পর বছর এ অবস্থা চললেও এই দুর্ভোগ লাঘবে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।
কলকলি ইউনিয়নের গলাখাল গ্রামের ক্ষিতীশ বৈদ্য বলেন, ডাউকি নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ হলে উপজেলার ১৫ গ্রামের মানুষ উপকৃত হতো। বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকি নিয়ে আমাদের নদী পার হতে হয়। তাছাড়া জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের পথও অনেক সহজ হতো এই সেতু নির্মাণ করা হলে। পাশাপাশি দুই উপজেলার মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা হতো। আমরা ডাউকি নদীর ওপর একটি সেতু চাই।
স্থানীয় বাসিন্দা জলিল মিয়া বলেন, আমি সুনামগঞ্জ যাবো। কলকলি হয়ে গেলে আমার সারাদিন চলে যাবে। এজন্য আমি ডাউকি নদী পার হয়ে শান্তিগঞ্জ হয়ে যাচ্ছি। এতে করে আমার সময় বাঁচবে এবং কাজ সারতে পারবো। জরুরি ভিত্তিতে ডাউকি নদীতে একটি সেতু নির্মাণ করলে আমাদের এলাকাবাসীর দুর্ভোগ অনেক লাঘব হবে।
সুরঞ্জিত দাস বলেন, আমি মুদি দোকানি। শহর থেকে পণ্য ক্রয় করে কলকলি হয়ে আসলে যাতায়াত খরচ বাড়ে। ফলে আমার পণ্যের উপর আমার লভ্যাংশ থাকে না। এজন্য ডাউকি নদী পার হয়ে আসতে হয়। সেতু না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের।
এ প্রসঙ্গে দরগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন বলেন, ডাউকি নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য ৭-৮ মাস আগে আমাদের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সেতু নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষ মাপজোক নিয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত এর সমাধান হবে এবং এই সেতুটি নির্মাণ হলে দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের উপকার হবে।
জাগরণ/এমআর