কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বি.টি.পি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ শ্রেণিকক্ষ নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন উৎকন্ঠায় শিক্ষক ও অভিভাবকরা। গত ২৩ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই বিদ্যালয়ে। জরাজীর্ণ অবস্থার সঙ্গে যোগ হয়েছে আসন সংকট।
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খোলার ঘোষণায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রেজাউল হক বলেন, বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪১২ জন। পাঠদানের জন্য ৫টি সেমি পাকা ক্লাস রুম রয়েছে। এর মধ্যে একটি রুম অনেক আগেই পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আর টিনশেড ভবনটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় জরাজীর্ণ হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে ।
অভিভাবক সাইফুল ইসলাম ও আকরাম হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় এর আগে শ্রেণি কক্ষ নিয়ে কোন মাথাব্যথা ছিলোনা। এখন বিদ্যালয়ের ঘরের টিন ফুটো হয়ে আকাশ দেখা যায়, একটু বৃষ্টি হলে শিক্ষার্থীসহ বই খাতা ভিজে যায়,আসন সংকটে এখানে স্বাস্থ্যবিধি পালন নিয়ে শংকা দেখা দিয়েছে।বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক(গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান) শামিম রেজা জানান,১৯৯০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়ে ১৯৯৮ সালে এমপিও ভুক্ত হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। আজ প্রায় ২৩ বছর হলো সরকারী ভাবে অবকাঠামোর জন্য কোন বরাদ্দ আমরা পায়নি। উপজেলার মধ্যে আমাদের বিদ্যালয়টি সবচেয়ে অবহেলিত।
শুধুমাত্র দুর্বল অবকাঠামোর কারনে এই বিদ্যালয়ে সচেতন অভিভাবক তাদের ছেলে মেয়েকে ভর্তি করতে চাননা, বাড়ী থেকে দুরে হলেও অন্য স্কুলে ভর্তি করান তাদের বাচ্চাদের। মাত্র চারটি কক্ষে ৪১২জন শিক্ষার্থীকে ক্লাশ করানো সম্ভব নয়। শামিম রেজা আরো বলেন, ইতি মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাননীয় সাংসদ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ এমপি বিল্ডিং বরাদ্দ দিয়েছে, আশা রাখবো আগামীতে আমাদের বিদ্যালয়ের অবকাঠামোর দিকে মাননীয় সাংসদ সুদৃষ্টি রাখবেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার সর্দার আবু সালেক বলেন, দৌলতপুরের অন্যান্য এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বি,টি,পি মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি শিক্ষার মানোন্নয়নে ভালো ভূমিকা রাখলেও অবকাঠামোর দিক থেকে পিছিয়ে আছে, আশা রাখি আগামীতে উক্ত প্রতিষ্ঠানটিও সর্ট টাইমে সরকারী বরাদ্দের অবকাঠামো পাবে।
জাগরণ/এমআর