পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে রাজবাড়ীর ২৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লবিত হয়েছে। এরই মধ্যে দের বছর পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও বন্যার কারণে প্লাবিত এ স্কুল গুলোর পাঠ দান কার্যক্রম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকরা।
তবে শিক্ষা অধিদপ্তর মনে করছেন বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর তারিখ থেকে বন্যা কবলিত যে স্কুল গুলো থেকে পানি নেমে যাবে সে স্কুলে পাঠদান শুরু করতে পারবেন।
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নে অবস্থিত তেনাপচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদরের চর সিলিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে হাটু সমান পর্যন্ত বন্যার পানিতে তলিয়েছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে পানি কমতে থাকায় এ স্কুলটির শ্রেণী কক্ষসহ বিদ্যালয় মাঠে এখনও পানি ও কাদা রয়েছে। এ পরিস্থিততে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে পরেছেন দুশ্চিন্তায়।
বন্যার পানির এমনপরিস্থিততি দেখা গেছে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের কাঠুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপালবাড়ি, মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাংশা, গোয়ালন্দ ও কালুখালী উপজেলার চর আফরা, পূর্ব চর আফরা ও চর রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দৌলতদিয়ার চাঁদখান পাড়া দৌলতদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেনাপচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বেতকা,দেবগ্রাম, মজলিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ পদ্মা সংলগ্ন চরাঞ্চল ও নিচু এলাকায় অবস্থিত জেলার ২৪ টি বিদ্যালয় এখন পাঠদানের অনুপোযোগী হয়ে পরেছে।
তেনাপচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হালিমা খাতুন বলেন,পানি কিছুটা কমলেও এখন পানি ও কাদার কারনে আগামী ১২ তারিখ থেকে স্কুল খোলা রেখে পাঠদান করা সম্ভব নয়। কিন্তু চলতি বন্যায় স্কুল গুলোতে পানি ওঠার কারনে পাঠদান কার্যক্রম কিভাবে শুরু করবেন তা নিয়ে পরেছেন দুঃশ্চিন্তায়।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলেন, একদিকে করোনার বন্ধ অন্যদিকে বন্যার পানিতে বাচ্চাদের স্কুলের পড়াশোনা বাঁধা পাচ্ছে। কিন্তু বন্যার পানির কারনে এই স্কুলে পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এখন তাদের সন্তানদের কিভাবে স্কুলে পাঠাবেন সে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন। শিক্ষার্থীরাও তাদের বিদ্যালয় পানির কারনে স্কুলে যেতে না পারার কথা জানায়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম বলেন, জেলার নিচু এলাকার ২৪ টি স্কুলে বন্যার পানি উঠেছে। পানি কমতে শুরু করেছে ১২ তারিখ পর্যন্ত যে স্কুল গুলোতে ক্লাস নেয়া সম্ভব সেগুলো খুলে দেয়া হবে এবং যে স্কুল গুলোতে পানি থাকবে সে স্কুল গুলো পানি শুকানোর পর ক্লাস শুরু করা হবে। এতে পড়াশোনায় তেমন কোন সমস্যা হবে না শিক্ষার্থীদের।
জাগরণ/এমআর