ফেনী সদরের শর্শদী ইউনিয়নের নোয়াবাদ এলাকায় রাস্তার পাশে ঝোপের ভেতর থেকে নারীর লাশ উদ্ধারের ৪ মাস পর হত্যাকারী ও হত্যায় ব্যবহৃত গাড়ির ড্রাইভারকে আটক করে পুলিশ। বিয়ের প্রলোভনে ঐ নারীকে হত্যা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বরকোট ভূঁইয়া বাড়ীর শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ আনসারী মুন্না, গাড়ির ড্রাইভার দ্বীন ইসলাম দ্বীনু। নিহত নারীর নাম লাইলী বেগম। তিনিও দাউদকান্দির বাসিন্দা।
বুধবার বিকেলে ফেনী মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, আব্দুল্লাহ আনসারী মুন্না একই জেলার লাইলী বেগমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাসা থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ চট্টগ্রামে পালিয়ে যেতে প্ররোচিত করে। এরই ধারাবাহিকতায় লাইলী বেগম গত ৩ সেপ্টেম্বর ১৭ হাজার টাকা ও মোবাইল নিয়ে দ্বীন ইসলামের গাড়িতে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তিনি অল্প টাকা নিয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয় তারা। চাহিদা মোতাবেক টাকা ও স্বর্ণালংকার না পেয়ে মুন্না ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়িতেই লাইলীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
আরো বলা হয়- প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মুন্নার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত গাড়ি উদ্ধার এবং চালক দ্বীন ইসলাম দ্বীনুকে গ্রেফতার করা হয়। তারা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
এমইউ