আর দশদিনের মতোই খুব সকালে ঘুম ভাঙে রুবেল-লিপি দম্পতির। তবে বুধবারের সকালটা ছিল ভয়ানক। যদিও জানতেন না সহজ-সরল স্ত্রী। স্বামীর কথায় সাতসকালেই সাজসজ্জায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন লিপি। সাজসজ্জা শেষে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান পুরো এলাকা। ঘোরাফেরা শেষে বাড়িও ফেরেন। কিন্তু ঘরে এনেই স্ত্রীর গলা কাটেন রুবেল।
ঘটনাটি রাজবাড়ীর পাংশার। এদিন সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের কালীনগর গ্রামে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রুবেল সরদারকে ধরে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। রুবেল একই গ্রামের ওকুল সরদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে স্ত্রীকে সাজিয়ে নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছেন রুবেল। ঘোরা শেষে নিজ ঘরে হাসুয়া দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। তিনি অতিরিক্ত মাদক সেবন করতেন। মাঝে মধ্যেই এলাকায় পাগলামি করতেন।
মাছপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোন্তাজ উদ্দীন খান বলেন, এলাকায় মাদকাসক্ত ও মানসিক রোগী হিসেব পরিচিত ছিলেন রুবেল। সকাল সাড়ে ৭টার কিছুক্ষণ পর তিনি স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেন। রুবেলের তিনটি সন্তান রয়েছে। লিপির বাবার বাড়ি একই উপজেলার সাজুরিয়া গ্রামে।
পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.মাসুদুর রহমান বলেন, পারিবারিক অশান্তির কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রথমে রুবেল মাছের ব্যবসা করতেন। তাকে মাদকাসক্ত বলা কঠিন। তবে রুবেলের বিরুদ্ধে গাঁজা সেবনের অভিযোগ রয়েছে।