‘পদব্রজে চলো বহুদূর’ স্লোগানে পায়ে হেঁটে দেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণে বের হয়েছেন এক তরুণ। রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা, বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব, পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিক ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ানোর বার্তা নিয়ে সাইফুল ইসলাম শান্ত নামের এই তরুণ গত ১৪ জানুয়ারি ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পদযাত্রা শুরু করেন।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকালে মৌলভীবাজার কোদালিপুল ঢাকা বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করেন সাইফুল ইসলাম শান্ত। সপ্তম জেলা হিসেবে তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারে পৌঁছান। এর আগে ঢাকা থেকে শুরু করে নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ জেলা হেঁটে ভ্রমণ করেন।
মৌলভীবাজারে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান মৌলভীবাজার রানার্স ক্লাবের এডমিন দৌড়বিদ, ড. সঞ্জীব মীতৈ। তিনি বলেন, আমরা যারা বিভিন্নভাবে এই কাজগুলোর সঙ্গে জড়িত, তারা সবসময় কাজের সঙ্গে কিছু বার্তা দেই। সাইফুল রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা, বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব, পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিক ব্যবহারে সচেতনতা এই বার্তাগুলো নিয়ে ৬৪ জেলা ভ্রমণে বের হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা সার্কিট হাউস চত্বরে সাইফুলের সঙ্গে কথা হয়। সাইফুল বলেন, এই বছরের শীতকালের প্রথম শীত অনুভব করলাম মৌলভীবাজারে।
তিনি জানান, ১৪ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ৬৪ জেলায় হেঁটে ভ্রমণের যাত্রা শুরু করেন। কক্সবাজার জেলায় তার পদযাত্রা শেষ হবে।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গত বছরের ২০ নভেম্বর ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার হেঁটে অতিক্রম করেন।
এছাড়াও গত বছরের ১২ আগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪০ দিনে কুমিল্লা থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত দেশের ১৬ জেলার ১ হাজার কিলোমিটার পথ হেঁটে অতিক্রম করেন বলে জানান।
আলাপকালে তিনি বলেন, রক্তদানে কোনো ভয় নেই, গাছের অভাবে উষ্ণতা বাড়ছে এবং প্লাস্টিক যেখানে সেখানে না ফেলে নির্ধারিত জায়গায় ফেলার বিষয়ে জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসব বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
সাইফুল বলেন, প্রতিদিন সকাল সাতটা থেকে আটটায় হাঁটা শুরু করি এবং সন্ধ্যায় শেষ করি। সে হিসেবে প্রতিদিন তিনি গড়ে ৪৫-৫০ কিলোমিটার হাঁটছেন।
এ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন তাকে সহায়তা করছে। ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ এই কাজে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। আগামী ৩ মাসে তিনি ৪ হাজার ৫০ কিলোমিটার হেঁটে দেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ করবেন। পদযাত্রা শেষ হবে কক্সবাজার জেলায়।