ভাবি-দেবরের প্রেম ১৫ বছরের। দেবরের সঙ্গে বেশ ভালোই কাটছিল দিন। সংসার ভাঙার পর ভাবিকে বিয়ের আশ্বাস দিলেও কথা রাখেননি দেবর। উল্টো গোপনে বিয়ে ঠিক করেন অন্যত্র। আর এমন খবরে বসে থাকেননি ভাবি। সোজা উঠেছেন দেবরের ঘরে। বসেছেন অনশনে।
ঘটনাটি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার। বুধবার রাত থেকে উপজেলার করমজা ইউনিয়নের আফড়া হিন্দুপাড়ায় দেবরের বাড়িতে অনশন করছেন ৩৫ বছর বয়সী এ নারী।
২৭ বছর বয়সী দেবরের নাম ইব্রাহিম শেখ। তিনি আফড়া গ্রামের মোকারম শেখের ছেলে। তবে ভাবির অনশনের খবর পেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি।
অনশনরত নারী জানান, ১৫ বছর আগে দেবর ইব্রাহিমের বড় ভাই হেলাল ড্রাইভারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকতেন। এ সুযোগে ছোট দেবর ইব্রাহিমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনি ইব্রাহিমকে বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু বিয়ের কথা শুনে নানা টালবাহানা করতে থাকেন ইব্রাহিম।
২৫ জানুয়ারি গোপনে ইব্রাহিমের বিয়ে ঠিক করে পরিবার। ২৮ জানুয়ারি ইব্রাহিমের বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। এ খবর পেয়ে বিয়ের দাবিতে তিনি দেবরের ঘরে অনশনে বসেন।
তিনি আরো জানান, দুই বছর আগে তার দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। এরপর তিনি বাবার বাড়ি চলে যান। কিন্তু তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ফিরে আসতে বলেন ইব্রাহিম। ২৪ জানুয়ারি তাকে নিয়ে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে যান তিনি। সেখানে একটি মসজিদে গিয়ে দু-চারদিনের মধ্যে বিয়ে করবেন বলে শপথ করেন ইব্রাহিম। এর মধ্যেই গোপনে বিয়ে ঠিক করেন দেবর। বিয়ে না করলে দেবরের ঘরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন এ নারী।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে ইব্রাহিম শেখ বলেন, ভাবির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আমার বিয়ের কথা শুনে ষড়যন্ত্র করছেন। এর আগেও আমার দু-তিনটা বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন তিনি।
ইউপি সদস্য আবু দায়েন কালু বলেন, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। তবে মীমাংসার জন্য আমার কাছে বা ইউনিয়ন পরিষদে কেউ আসেনি।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। তবে তার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউএম