গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে সরকারিভাবে আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে চাষিদের ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার তাদের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়। এতে করে বরাদ্দ মেলে ১৭৯৫ মেঃ টন। ইতোমধ্যে উপজেলা ধান ক্রয় কমিটি লটারীর মাধ্যমে ১৭৯৫ জন চাষির নাম নিশ্চিত করে। প্রতি কেজি ২৭ টাকা দরে ধান ক্রয় শুরু হয় গত ২৪ নভেম্বর । দীর্ঘ ২ মাস পেড়িয়ে গেলেও ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৭৯৯ টন।
সরকারিভাবে ধান বিক্রয়ে চাষিদের আগ্রহ না থাকায় ২৮ ফেব্রুয়ারি ধান ক্রয়ের সময় সীমায় সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।
এনিয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাবিবুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাধারণ বাজার মূল্য ও সরকারের বেধে দেয়া বাজার মূল্য প্রায় এক হওয়ায় চাষিরা গোডাউনে ধান দিতে অনিহা প্রকাশ করায় সংগ্রহ অভিযানে স্থবীরতা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া চাষিরা ধান গোডাউন জাত করার ক্ষেত্রে যে নিয়ম নিতি তা অনুসরণে ঝামেলা মনে করছেন বলেও ধান ক্রয়ের ক্ষেত্রে একটা কারণ বলে মনে করেন তিনি।
দৈনিক জাগরণ/আরকে