বরিশালে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ১৫ জন আর আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন।
জেলার বিভিন্ন থানার দেওয়া তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসব্যাপী ট্রাক-বাস চাপা ও ধাক্কায়, মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ১৪টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধসহ ১৫ নিহত হয়েছেন।
বছরের শুরুর দিনে বাকেরগঞ্জের পাদ্রিশিবপুর এলাকায় পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল পরিবহনের ট্রলি ছিটকে পড়লে চালক রমজান আলী নিহত হন। ওইদিন ভোরে গৌরনদীর আশোকাঠি ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় শহিদুল হক খান নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
গত ২ জানুয়ারি বরিশাল জেলার মুলাদীর মীরগঞ্জ সড়কের কাজিরহাট ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। বাকেরগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপাশা এলাকায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রনজিৎ দাস নামে এক বাসযাত্রী নিহত হন।
গত ৫ জানুয়ারি দুপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর বার্থী গ্রামের সজিবুর রহমান নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। একই তারিখের হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাসের চাপায় রাশিদা বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধা পথচারী নিহত হন।
ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় বাসচাপায় আসলাম হাওলাদার (৩২) নামে এক পথচারীর মৃত্যু হয়। ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় সোলায়মান মোল্লা (৩৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়।
গত ১৪ জানুয়ারি দুপুরে মুলাদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় উপজেলার দরিচর লক্ষ্মীপুর এলাকার শফিক ঘরামীর ছেলে নিরব ঘরামী (১২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়।
মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক নিহত হন। ২৩ জানুয়ারি ঘটনাটি ঘটে আগৈলঝাড়া-গোপালগঞ্জ মহাসড়কের পশ্চিমপাড় এলাকার মোড়ে। ওইদিন বানারীপাড়ায় রাস্তা পারাপারের সময় এমদাদুল হক (৭) নামে এক শিশু নিহত হয়।
২৬ জানুয়ারি বাসের চাপায় বার্থী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ বেলাল হোসেন জানান, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সবার প্রথমে চালক-হেলপার ও যাত্রীদের সচেতন হতে হবে। সড়কের আইন মেনে যানবাহন চলাচল করলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমে যাবে।