নাসির আহমেদ, দশমিনা প্রতিনিধি
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার গুরুত্বপূর্ন সড়কগুলোতে ফড়িয়ারা দখল করে ধানের ব্যবসায় করায় ভোগান্তিতে পড়েছে পথচারীরা। এতে করে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজট।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক, স্কুলের সামনের সড়ক দখল করে ধান ফড়িয়াররা ব্যবসা করছে। উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের যৌতা গ্রামে ৬৯ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তার এপাশ ওপাশে প্রায় ২শ’ বস্তা ধান রেখে উচু টিলা বানিয়ে রেখেছে তারা। এ ছাড়া উপজেলার আরজবেগী এস.এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক জুড়ে ধানের বস্তার স্তুপ দেখা যায়। উপজেলার গুরুত্বপূর্ন সড়ক পশু হাসপাতালের পূর্ব পাশে রাস্তার জুড়ে ধানের বস্তা, তারপাশে দাড়িয়ে আছে ট্র্যাক এতে করে দেখা দিয়েছে যানজট।
সদরের পশু হাসপাতালের সামনের সড়কে ধানের বস্তা ও ট্র্যাক রাখায় রাস্তার এক-তৃতীয়াংশ দখল করে ধান বস্তা, ট্র্যাকে উঠানো এবং ভ্যানগড়ী দিয়ে এনে নামানোর কাজ করছে দিনভর ধান ব্যবসায়ীরা।
দশমিনা সদরের মোঃ কামাল হোসেন বলেন, দশমিনা-ঢাকা, দশমিনা-পটুয়াখালী ও দশমিনা-বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে লোকজন গুরুত্বপূর্ন কাজে যায়, রোগী বহন কারি এ্যাম্বুলেন্স এবং মালামালবাহী মিনি ও বড় ট্র্র্যাক আসা যাওয়া করে কিন্তু ধানের বস্তায় সড়কের বেশিরভাগ জায়গা দখল করায় যানজট সৃষ্ঠি হয়। এতে করে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়।
দক্ষিন দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন রাড়ি বলেন, এই বাজারটি সন্ধ্যার পর এলাকার বিভিন্ন পেশার লোকজন এসে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল কেনা-বেঁচা করে। এখন বাজারটি জুড়ে ধানের বস্তার স্তুপ। কেউ দেখার নেই মনে হচ্ছে ফড়িয়ারদের ধান ব্যবসা করার জন্য এই রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। এই স্তুপের তলে শিশু ও বৃদ্ধরা যে কোন সময় পড়ে যেতে পারে।
আলীপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রবিউল বলেন, এলাকার বিভিন্ন সড়ক দখল করে রাখা হচ্ছে ধানের বস্তা। এত করে রাস্তায় যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি বিষয়টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে জানাবো।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল কাইয়ূম বলেন, আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য। তবে সুস্থ্য হয়ে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।
দৈনিক জাগরণ/আরকে