সৌরবিদ্যুতের সেচে পাল্টে গেছে কৃষিচিত্র

ময়মনসিংহ (গফরগাঁও) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২, ১০:১৫ এএম সৌরবিদ্যুতের সেচে পাল্টে গেছে কৃষিচিত্র

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে রাওনা ইউনিয়নের রাওনা গ্রামে বোরো ধান আবাদে সৌরবিদ্যুতে সেচপাম্প চালুর মাধ্যমে পাল্টে গেছে কৃষিচিত্র। সৌরবিদ্যুৎ চালিত  পাম্পের মাধ্যমে স্বল্প খরচে কৃষকের বোরো আবাদ করছেন। 

কৃষকেরা বলেন, সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচপাম্পে চাষাবাদ করে খরচ ও সময় দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে। হয়রানি থেকেও মিলেছে মুক্তি।

সেচ প্রকল্প পরিদর্শনে এসে কৃষি মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আমন, বোরো ও রবি তিন ফসলেই সৌরশক্তি ব্যবহার করে ভূগর্ভস্থ পানি ওঠানো হচ্ছে। তবে কৃষকেরা সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন বোরো মৌসুমে। ওই সময়ে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় জাতীয় গ্রিডে চাপ থাকে।  আবার বোরো মৌসুমে সেচযন্ত্র চালাতে গিয়ে ডিজেলের সংকটেও পড়তে হয় কৃষকদের। সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচ কার্যক্রমে এসব ভোগান্তিতে পড়তে হবে না তাদের। ডিজেলচালিত পাম্পে সেচ খরচ গুনতে হয় কৃষকদের অনেক বেশি। আর এভাবে সেচ খরচ হয় বিঘায় গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা।

বিএডসিরি ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের রাওনা গ্রামে সোলার প্যানলেরে সাহায্যে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। এই প্রকল্পরে অধীনে ২৬টি সোলার প্যানেলের মাধ্যমে ১৫ একর (দুইশত কাঠা) জমিতে শতাধিক কৃষক সেচ সুবিধা পাচ্ছে।

কৃষকরা জানান সেচ সুবিধার জন্য চলতি মৌসুমে গত মৌসুমের চেয়ে ভাল ফলনের আশা করছেন। 

কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: আব্দুর রউফ বলনে, এসডিজিতে ৬.৪ এ সাশ্রয়ী পানি ব্যবস্থাপনার কথা বলা হয়েছে। পতিত জমি এবং অকৃষি জমি সেচের আওতায় এনে কৃষকদের লাভবানের চেষ্টা করছি। কৃষকের হাতের নাগালে বিএডিসির সেবা পৌছে দিচ্ছি। 

তিনি আরও বলেন, সেচ ছাড়া বোরো চাষ সম্ভব না। সেচের সুবিধা থাকলে এক ফসলি জমিতে তিনটি ফসল করা সম্ভব। সোলারে সেচ আধুনিক বারিক পাইপ প্রযুক্তিতে ভূ-র্গভস্থ পাইপ লাইন দিয়ে সেচ সরবরাহ করা হয়। এতে পানির অপচয় রোধ ও খরচ সাশ্রয় হয়। সারাদেশে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ডিজেল ও বিদ্যুতের উপর নির্ভরতা কমবে।

সৌরশক্তি ব্যবহার ও ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক মো: সারওয়ার হোসেন জানায়, ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই সেচ প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে। নদীর চাহিদা অনুযায়ী ০.৫ কিউসেক সৌরশক্তি চালতি এলএলপি সেচস্কীম করা হয়েছে। আগামীতে এই সেচ প্রকল্প সাফল্য লাভ করলে পাম্প ও সোলারের সংখ্যা বাড়ানো হবে।

জাগরণ/আরকে