মাদারীপুরের কালকিনিতে এক প্রবাসীর ছেলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ঐ উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের মহরুদ্দির চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরকীয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা পুলিশ ও স্থানীয়দের।
নিহত জহিরুল সরদার ঐ গ্রামের কাতার প্রবাসী বারেক সরদারের ছেলে। তিনি সমিতিরহাট মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহরুদ্দির চর গ্রামের বারেক সরদার দীর্ঘদিন ধরে কাতারে অবস্থান করছেন। বাড়িতে তার স্ত্রী কোহিনুর বেগম ও ছেলে জহিরুল থাকতেন। সকালে জহিরুল ঘুম থেকে না ওঠায় তাকে খুঁজতে যান চাচাতো ভাই সবুজ সরদার। ঐ সময় ঘরে ঢুকে জহিরুলের গলাকাটা লাশ দেখতে পান তিনি। পরে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়, পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার বাদল বিশ্বাসের সঙ্গে পরকীয়া চলছিল জহিরুলের মা কোহিনুর বেগমের। এ নিয়ে কয়েকদিন আগে সালিশও বসেছিল। এছাড়া বাদল মেম্বারের স্ত্রী প্রকাশ্যে অপমান করেছিলেন কোহিনুরকে। এসব বিষয়ে কোহিনুরের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় ছেলে জহিরুলের। এরই জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হতে পারে।
কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, নিজ ঘর থেকে কম্বলে জড়ানো অবস্থায় জহিরুল সরদারের লাশ দেখতে পান তার চাচাতো ভাই সবুজ। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে জহিরুলকে।
মাদারীপরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) চাইলাউ মাররা বলেন, হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
ইউএম