বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও মশাল মিছিল

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২, ১০:৪০ এএম বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও মশাল মিছিল

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধধর্ষণের ঘটনা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলার বিচারের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় এ মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ মিছিল করে তারা।

এর আগে দুপরে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ বিচার কার্যক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। এর পাশাপাশি তিন দফা দাবিও জানান।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হল- ১. দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষকে গ্রেফতার ও নাম প্রকাশ করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে, ২. ধর্ষণের বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ উপাচার্যের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে, ৩. এ হামলার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের অবস্থান সম্পর্কে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সে অবগত করতে হবে।

এদিন বিকেল ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম আলো বন্ধুসভা শাখা।

মানববন্ধনে বন্ধুসভার সদস্য আশফাকুর রহমান আদির সঞ্চালনায় সভাপতি সুরুজ সরদার বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ এলাকায় যদি এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে  জানাতে গিয়ে যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা স্থানীয়দের হামলার শিকার হন তাহলে নিরাপত্তা কোথায়? এই বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই, সেই সাথে জড়িদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এসময় বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি তাসনিম বলেন, আমি একটা মেয়ে হিসেবে আরেকটা মেয়ের এমন পরিস্থিতি যথেষ্টই বুঝতে পারছি। একটা মেয়ের জীবনে এর চেয়ে কষ্টের আর কিছু হতে পারে না। এমন স্বাধীন দেশে বাস করেও যদি আমরা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে না পারি। ক্যাম্পাসের মতো জায়গায় ওতপাতা সব পশুদের শিকারে পরিণত হতে হয় তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়।

প্রসঙ্গত, বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে  বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধধর্ষণের ঘটনা ঘটে। যার বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীরা প্রথমে সদর থানা এবং পরে মহাসড়ক অবরোধ করে। এরপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলায় উপাচার্য ড. এ কিউ এম মাহবুবসহ একাধিক শিক্ষক ও শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।


জাগরণ/আরকে