পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) লাঠির আঘাতে আলম (২৮) নামের এক বাংলাদেশি তরুণ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই তরুণ আহত হওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে পঞ্চগড়ের হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া-বাঙ্গালপাড়া সীমান্তে ৭৫৪ নম্বর মেইন পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সদস্যরা পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে।
আহত আলম একই ইউনিয়নের বাঙ্গালপাড়া এলাকার আজির উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশি পাঁচজন তরুণ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় একটি চা-বাগানে প্রবেশ করেন। এ সময় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্য এগিয়ে এসে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আলমকে মাথায় আঘাত করে। আহত তরুণের চিৎকারে আশপাশের থাকা অন্য তরুণরা এগিয়ে এসে ওই বিএসএফ সদস্যের ওপর চড়াও হয়ে তরুণকে উদ্ধার করে।
এদিকে বিষয়টি জানার পর একই দিন বিকেলে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বিজিবি সদস্যরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সীমান্তে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেছে। পতাকা বৈঠকে পঞ্চগড়ের বিজিবির ঘাগড়া বিওপির কোম্পানি কমান্ডার দাইমুল ইসলাম ও বিএসএফের চানাকিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নারায়ণ সিং নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই ঘটনায় বিএসএফের সাথে পতাকা বৈঠকে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়েছে। ওই তরুণদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। তাদের শনাক্ত করতে পারলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাগরণ/আরকে