ফের ধর্ষন করতে না দেয়ায় চাকরি গেল বিধবা নারীর 

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২২, ০৪:৪০ পিএম ফের  ধর্ষন করতে না দেয়ায় চাকরি গেল বিধবা নারীর 

সাতক্ষীরার নলতায় এক সন্তানের জননী বিধবাকে এক বছর ধরে ধর্ষণ করছে বাজারের ইজারাদার। শারীরিক সম্পর্ক না করলে করা হচ্ছে মারপিট। হুমকি দেয়া হচ্ছে ঝাড়ুদারের কাজ থেকে বের করে দেয়ার।

অভিযুক্ত ওয়াহেদ আলী সরদার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা কাঁচাবাজারের ইজারাদার। ভুক্তভোগী নারী নলতা কাঁচা বাজারের ঝাড়ুদার। নিরুপায় হয়ে ওই নারী নলতা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ধর্ষণের শিকার নারী জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর ৮ বছরের মেয়েকে নিয়ে আমি একাই বসবাস করি। সংসারের খরচ আমাকে চালাতে হয়। গত বছর থেকে আমি কাঁচাবাজারে ঝাড়ুদারের কাজ করি। এজন্য আমি কাঁচাবাজের পাশে ভাড়া বাসায় থাকি। বাজারের ইজারাদার ওয়াহেদ আলী সরদার বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও কাজ থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দিয়ে আমার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করতে থাকে। এক পর্যায়ে সে আমার বাসায় যাতায়াত শুরু করে ও নিয়মিত শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হয়।

তিনি বলেন, আমার গর্ভে যাতে বাচ্চা না আসে ওয়াহেদ নলতা বাজারের চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলমকে দিয়ে গর্ভনিরোধক ইনজেকশন দিতো। আমি শারিরিকভাবে অসুস্থ থাকায় ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে পারছিনা। এ কারণে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকাল ৮ টায় তার কর্মচারী মোনাজাতকে দিয়ে আমাকে মারধর করায়। এ ব্যাপারে আমি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। যে কারণে শুক্রবার (৪মার্চ) আমাকে কাজ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী অসহায় বিধবা ওই নারী পুনরায় কাজ ফিরে পাওয়াসহ এ ঘটনায় জড়িত ইজারাদারের বিচার দাবি করেছেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ওয়াহেদ আলী সরদারের মোবাইলে একাধিক কল দিলেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। 

কালীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জাগরণ/আরকে