সাকলাইন যোবায়ের
সারাদেশে পেঁয়াজের চাহিদার বেশির ভাগ পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আমদানী নির্ভর হয়ে থাকে। ভারত পেয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দিলে দেশে পেঁয়াজের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
তবে সুখবর হচ্ছে চলতি গ্রীষ্মকালীন ও রবি মৌসুমে কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের পরামর্শে আশানুরূপ ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে, কয়েক বছর পেঁয়াজের সংকট এবং দাম বেশি হওয়ায় এসব চরাঞ্চলের কৃষক অন্যান্য ফসলের চেয়ে পেঁয়াজ চাষে বেশি আগ্রহী। এবছর পেঁয়াজ চাষ ও বাম্পার ফলনে উৎপাদিত পেঁয়াজ দিয়ে জেলার চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে।
সরেজমিনে উপজেলার কালাই গোবিন্দপুর এলাকার গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার চরাঞ্চলে শুধু পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকরা।
তিতাস নদীর দুই কূলে জেগে উঠা চর সমূহে পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।
কৃষক বাবুল মিয়া তার পেঁয়াজ ক্ষেতের পরিচর্যা করার ফাঁকে জাগরণকে জানান, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পেঁয়াজ ক্ষেতে কোনো আপদ দেখা যায়নি। ঘরে তোলার সময় পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে রোপা আমনের ক্ষতি পেঁয়াজ দিয়ে পুষিয়ে নেয়া যাবে।
অপর চাষি মো: আবদুল্লাহ বলেন, বর্তমান বাজার মূল্য স্থিতিশীল থাকলে পেঁয়াজ চাষিরা লাভবান হবেন। এছাড়াও চাষিরা আগামীতেও পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হবেন।
কালাই গোবিন্দপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: কাউছার আহমেদ জানান, উক্ত ব্লকে এবার প্রায় ৪ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতক জমিতে আব্দুল হক তাহেরপুরী জাতের পেঁয়াজ আবাদ করেছেন। বিশেষ করে পেঁয়াজের ফলন বৃদ্ধিতে পেঁয়াজের থ্রিপস পোকা ও পার্পল ব্লচ রোগ দমনে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: সালাহ উদ্দিন বলেন, চলতি বছরে উপজেলায় ৩৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, ফলন বপনের পর বৃষ্টি হওয়ায় সরিষা, আলু, গমসহ পেঁয়াজ চাষিরা অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে ২০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের ফলন হয়েছে। পোকা ও অন্যান্য রোগ দমনে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করায় বর্তমানে জমিগুলোতে আশানুরূপ ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাগরণ/আরকে