আমতলীতে সালিশ বৈঠকে বৃদ্ধকে কুপিয়ে জখম

বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২২, ১০:২৯ এএম আমতলীতে সালিশ বৈঠকে বৃদ্ধকে কুপিয়ে জখম

আমতলী প্রতিনিধি
বরগুনার আমতলীর কুলাইচর গ্রামে শুক্রবার (১৮ মার্চ) দুপুরে সরকারী একটি খালের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্ব নিরসনে বসা সালিশ বৈঠকে জালাল হাওলাদার (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

আহত জালালকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের কুলাইচর গ্রামের দুষমি সাবানিয়া সরকারি খালে মাছ চাষের জন্য ৩ বছরের ইজারা নেয় কুলাইরচর গ্রামের সামসুল হক মৃধার ছেলে। সরকারি চাকুরিজীবি রায়হান মৃধা ওরফে কুদ্দুস মৃধা কৌশলে একই এলাকার রেজাউল ওরফে রাসেদের নামে খালটি লিজ নেয়।  

এ খালের ইজারা নিয়ে একই গ্রামের জালাল হাওলাদারের সাথে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে একাধিক মামলা মোকদ্দমার ঘটনাও ঘটে।

দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে কুলাইরচর গ্রামের সামসের মৃধার বাড়িতে এক সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে বসে জালালা হাওলাদার এবং  রায়হান কুদ্দুস মৃধা তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে রায়হান কুদ্দুস মৃধার লোকজন জালাল হাওলাদারকে কুপিয়ে রক্তাত্ব জখম করে। 

খবর পেয়ে স্বজনরা জালাল হাওলাদারকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। জালাল হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, সালিশ বৈঠকে বসে রায়হান কুদ্দুস মৃধা ও মাসুদ মৃধার নেতৃত্বে আমাকে কুপিয়ে জখম করে।

অভিযুক্ত রায়হান কুদ্দুস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এবং আমার কোন লোকজন জালাল হাওলাদারকে কুপিয়ে আহত করেনি। 

আমতলী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাজমুন নাহার বলেন, আহত জালাল হাওলাদারের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জাগরণ/আরকে