এম এ মোতালিব ভুঁইয়া, দোয়ারাবাজার
দোয়ারাবাজারে পুরান বাঁশতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিল্ডিং নির্মাণে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দায়সারা ও নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণ কাজের শুরু থেকে দফায় দফায় চলছে ভাঙাগড়ার খেলা। এ কারণে গত আড়াই বছরেও স্কুল কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করতে পারেনি নতুন ভবন। দুই বছর ধরেই পাঠদান চলছে ভাড়া করা ভাঙা ঘরে।
সরজমিন গিয়ে জানা যায়, উপজেলার পুরান বাঁশতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে মেসার্স দিহান এন্টারপ্রাইজ নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর নির্মাণে ৮১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৩২ টাকায় ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেয়েছ। কাজের শুরুতে নিম্নমানের রড, সিমেন্ট, ইট, বালি ও পাথর দিয়ে কাজ করায় হস্তান্তরের পূর্বেই ফ্লোর সাইডে ফাটল, জানালার গ্রিলের জয়েন্ট খুলে যাচ্ছে। ২০২০ সালের শুরুতে কাজ শুরু হলেও আজোবধি হস্তান্তর করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা এলজিইডি অফিস কর্তৃপক্ষ বলছেন, ত্রুটিপূর্ণ কাজ রেখে কোনো ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সাইড ফ্লোর ভেঙে পুনরায় কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ বলেন, শুরু থেকে কাজে অনিয়ম এবং লাগাতার ভেঙে পুনরায় কাজ করায় বিল্ডিংয়ের অবস্থা খুবই খারাপ। এ ছাড়া হস্তান্তর না করায় পাঠদানে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। শুরু থেকেই একটি ভাড়াটে টিনসেড ঘরে চালাতে হচ্ছে পাঠদান। এখানে বিদ্যুৎ, পানি এবং শৌচাগারের কোনও ব্যবস্থা নেই। বৃষ্টি হলে ক্লাসে পাঠদান সম্ভব হয় না।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আছমত আলী বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়সারা ও নিম্নমাণের কাজ করলেও দেখার কেউ নেই। কাজের মান ও গতি নেই।
জানতে চাইলে মেসার্স দিহান এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার আবুল কালাম বলেন, বিল্ডিংয়ের ত্রু টি থাকলে তা সমাধান করা হবে। এ বিষয়ে সকল দায়দায়িত্ব উপজেলা এলজিইডি অফিস কর্তৃপক্ষের।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, স্কুল ভবন নির্মাণে ত্রুটি থাকার বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুনরায় কাজ না করা পর্যন্ত বরাদ্দ বিল উত্তোলনের সুপারিশ করা হবে না।
জাগরণ/আরকে