কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা থেকে দরিয়ানগর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ভেসে আসা মরা মাছগুলো কোন কিছুর প্রভাব নয়, একটি বড় বোট থেকে মরা মাছগুলো ফেলে দেয়া হয়েছে। এমনটি জানিয়েছে কক্সবাজারের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। মরা মাছগুলো ভেসে আসার পরপরই বেশ আলোচনা চলছিল বিভিন্নমহলে।
শনিবার (১৯ মার্চ) বিকালে এসব মাছ ভেসে আসার পর থেকে মাছ নিয়ে উৎসুক মানুষের আগ্রহের শেষ ছিল না। বলা হচ্ছিল সমুদ্রে খারাপ প্রভাব বা সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আসানির প্রভাবসহ নানা কারণে মাছগুলো মরে উপকূলে উঠে এসেছে। এই নিয়ে এক প্রকার তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
কক্সবাজার মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, মাছগুলো মহেশখালীর একটি মাছধরার বোট থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, মহেশখালী ওই বোটটিতে বিপুল পরিমাণ স্থানীয় ভাষায় ‘চামিলা’ মাছ ধরা পড়ে। মাছগুলো আনলোড করার জন্য তারা কলাতলী পয়েন্টে আসে। দুটি নৌকায় আনলোড করার পর অবশিষ্ট মাছ তারা পানিতে ফেলে দেয়। পরে মরা মাছগুলো ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে আসে।
বিজ্ঞানী শফিকুর রহমান বলেন, এত বিপুল পরিমাণ মরা মাছ ভেসে আসা নিয়ে আমরা বেশ দুশ্চিনতায় পড়ে গিয়েছিলাম। এই নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করি। অনুসন্ধানে জানতে পারি মরা মাছগুলো বোট থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে।
একই কথা জানিয়েছেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা খালেকুজ্জামানও। তিনি বলেন, বাজারে দাম কম হওয়ায় খরচ না পোষানোর কারণেই মাছগুলো মনে হয় সাগরে ফেলে দেয়া হয়েছে।
জাগরণ/আরকে
