বাঘায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনের জের ধরে ফের সংঘর্ষ  

রাজশাহী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২২, ১০:৩৭ এএম বাঘায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনের জের ধরে ফের সংঘর্ষ  

বাঘা প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাঘায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থলে সংঘর্ষের জের ধরে আবারও দু পক্ষের দুজনকে মারপিট করে আহত করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার ও বুধবার (২৩ মার্চ) পৃথকভাবে উপজেলার নারায়নপুর বাজার এবং কিশোরপুর গ্রামে এই মারপিটের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে একজনকে রামেক হাসপাতাল ও আরেকজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির পক্ষে বাঘা উপজেলা সম্মেলনে লোকবল আনার জন্য ভুটভুটি গাড়ি ভাড়া দেওয়ার কারনে অপর সভাপতি প্রার্থী ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বিতর্কিত আক্কাস আলীর লোকজন বুধবার সকাল ১১ টার দিকে কিশোরপুর এলাকায় তাকে মারপিট করে আহত করেন। আহত রতন আলী কিশোরপুর গ্রামের একরাম আলীর ছেলে। তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। 
 
এর আগে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আক্কাছ আলীর ছোট ভাই আকুল হোসেন উপজেলার নারায়নপুর বাজারে জেবু নামের এক ব্যক্তির সারের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির সমর্থকরা মাস্ক পরে তাকে মারপিট করে আহত করে বলে দাবি করেন আহত আকুল হোসেন। এ ঘটনার পর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। 

উল্লেখ্য, সোমবার (২১ মার্চ) বেলা ১১ টায় উপজেলার শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন চলা অবস্থায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলীর সমর্থকরা ঐ সভা মঞ্চের সামনে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে  আক্কাস ভাই, আক্কাস ভাই বলে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির সমর্থকরা। এতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে আক্কাস আলী নিজে সহ তার বাহিনীর লোকজন সভা মঞ্চের চেয়ার ভাংচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায়। পরে মন্ত্রী পক্ষের লোকজন তাদের ধাওয়া করলে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।  

বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, সাবেক পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর বিরুদ্ধে বিগত সময়ে বহুল আলোচিত বিবস্ত্র মামলাসহ একাধিক নারী নির্যাতন, সরকারি কাজে বাধা প্রদান, আদালতের নাজিরকে মারপিট, ধর্ষন, বলৎকার, জমি দখল, দুর্নীতি, হোটেল ভাংচুরসহ ২১ টি মামলা ও ২৬ টি জিডি রয়েছে। সর্বশেষ ২১ মার্চ আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থলে তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে যে তান্ডব চালিয়েছেন তাতে সকল নেতা ও স্থানীয় লোকজন তার প্রতি ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় রাতে থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে তিনি  আত্নগোপনে রয়েছে। পরবর্তী পৃথক দু’টি সংঘাতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দেননি বলে জানান ওসি।

জাগরণ/আরকে