রাণীনগরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন 

নওগাঁ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২২, ১২:৫৮ পিএম রাণীনগরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন 

নওগাঁর রাণীনগরে যৌতুকের দাবি করা টাকা না পেয়ে এক গৃহবধূর মাথার চুল কেটে ও নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের বিচার চেয়ে গৃহবধূ আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি এজাহার হিসাবে গ্রহণ করার জন্য রাণীনগর থানা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করে ।  

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি উপজেলার মধুপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে ফিরোজ হোসেন পাশের ভান্ডারপুর গ্রামের হোসেন আলীর মেয়ে হাসিনা বেগমকে (২৬) বিয়ে করেন। বিয়ের দিন জামাইকে চুক্তি অনুযায়ী ব্যবসা করার জন্য এক লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দেন পাত্রীর বাবা। কিছুদিন পর থেকেই ফিরোজ হোসেন আরো এক লাখ টাকা এনে দেয়ার জন্য তার স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকেন। হাসিনা বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে না দেয়ায় স্বামী ও স্বামীর পরিবারের লোকজন তার ওপর নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি স্বামী ফিরোজ হোসেনের সাথে হাসিনা বেগমের বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় স্বামীর পরিবারের লোকজন হাসিনাকে চরম নির্যাতন করে। নির্যাতনকারীরা হাসিনার সারা শরীরে এলোপাতারী মারপিট করলে হাসিনা অজ্ঞান হয়ে পরেন। এ সময় অন্যদের সহয়তায় স্বামী ফিরোজ হোসেন কাঁচি দিয়ে হাসিনার চুল কেটে দেয়। পরে হাসিনাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। হাসিনা এখন দরিদ্র বাবার বাড়িতে বসবাস করছেন। 

নির্যাতনের শিকার হাসিনা বেগম জানান, ঘটনার পরদিন সকালে থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা বা অভিযোগ নেয়নি। পরে নিরুপায় হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালত-১ এ মামলা দায়ের করেন। 

গৃহবধূর বাবা হোসেন আলী বলেন, মামলা দায়ের করা হলেও আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি। 

থানার ওসি শাহিন আকন্দ বলেন, গৃহবধু হাসিনা বা তার পরিবারের কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেননি। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার থানায় মামলা রের্কড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। 

হাসিনার স্বামীর মুঠোফোন নম্বর না পাওয়ায় তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।

জাগরণ/আরকে