কুষ্টিয়ার মিরপুরে ফিরোজ আহম্মেদ কাজল (২২) নামে এক যুবককে অপহরণের পর হত্যার দায়ে আট জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে মাসুদ, একই গ্রামের শের আলীর ছেলে সিদ্দিক, একই উপজেলার বরিয়া গ্রামের নুর ইসলাম মোল্লার ছেলে মাসুম মোল্লা, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের আজগর আলীর ছেলে গিয়াস, একই গ্রামের মৃত শের আলী মোল্লার ছেলে মেসকাত আলী মোল্লা, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সালিমপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদ বিশ্বাসের ছেলে সোহেল, একই গ্রামের কালাম হোসেনের ছেলে ওয়াসিম রেজা এবং কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চৌড়হাস উপজেলা রোডের মৃত লালন শেখের ছেলে জাকির হোসেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলো- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বরিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে রবিউল ইসলাম ববি, একই গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে নুরুল ইসলাম ও দৌলতপুর উপজেলার কাজিপুর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে এনামুল হক ইনু।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১২ জুলাই মিরপুর উপজেলার বরিয়া গ্রামের দেলবার হোসেনের বড় ছেলে ফিরোজ আহমেদ কাজলকে আসামিরা অপহরণের পর হত্যা করে। এ ঘটনায় মিরপুর থানায় নিহত কাজলের বাবা দেলবার বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ১ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আট আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই দন্ডপ্রাপ্তদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
জাগরণ/আরকে