সরকার অনুমোদিত বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নওগাঁ জেলার চৌমাসিয়া মোড় (নওহাঁটা) এলাকায় স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন ও গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাসিয়া (নওহাঁটা) মোড়ে স্থানীয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও নওগাঁবাসীর ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বলিহার কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবু নাসেরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ ভদ্র, চেরাগপুর ইউপির চেয়ারম্যান শিবনাথ মিশ্র, ভীমপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হাসান আলী মণ্ডল, উত্তারাঞ্চল উন্নয়ন পরিষদ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সুজনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী বেলাল ও মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, হেল্পলাইন হ্যালো নওগাঁর সদস্যরাসহ পাঁচ শতাধিক স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় তাদের হাতে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার দেখা যায়।
নওহাটা মোড়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি তুলে ধরে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নওগাঁর চৌমাসিয়া (নওহাটা) মোড় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান। এই স্থানটি নওগাঁ শহরের খুব কাছাকাছি নয়, আবার শহর থেকে খুব দুরেও নয়। নওহাটা চৌমাশিয়া বাজারের পাশে প্রায় ৩০০ একর খাস জমি রয়েছে। এই জমিগুলো সরকার নিজের হেফাজতে নিয়ে এখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করলে সরকারের রাজস্ব খাত থেকে জমি অধিগ্রহণের খরচ অনেকাংশেই কমে যাবে। এছাড়া নওহাটা থেকে সড়ক পথে আশপাশের জেলা রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় শিক্ষার্থী-শিক্ষকেরা সহজে যাতায়াত করতে পারবেন।
চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ ভদ্র বলেন, আমরা ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি, নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য নওগাঁ শহরের পার্শ্ববর্তী দিঘলীর বিল ও নিয়ামতপুর উপজেলার ছাতড়ার বিল এলাকায় মন্ত্রনালয়ের একটি দল পরিদর্শন করে গেছে। কিন্তু ওই দুটি স্থানই অযৌক্তিক স্থান হবে। দিঘলীর বিলে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে নওগাঁ শহরের ওপর চাপ পড়বে। আর ছাতড়া বিলে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে সেখানে যাতায়াতের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো নয়। ছাতড়ার বিল সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত এলাকা। সেখানে হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। সেই তুলনায় নওহাটা মোড় হবে সবচেয়ে যৌক্তিক স্থান। এখানে সকল ধরণের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে।
দেশের প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাবিত ‘বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নওগাঁ আইন, ২০২২’ ও ‘ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২২’ খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হলে দেশে স্বায়িত্বশাসিত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫২। এছাড়া দেশে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১০৮টি।
জাগরণ/আরকে