ইউপি সদস্যকে ধর্ষণ-হত্যার পর দাফনেও অংশ নেয় খুনি!

বগুড়া প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২২, ০৬:১০ পিএম ইউপি সদস্যকে ধর্ষণ-হত্যার পর দাফনেও অংশ নেয় খুনি!

বগুড়ায় ইউপি সদস্য রেশমা খাতুনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ছয় মাস পর মূল আসামি আব্দুল লতিফ শেখকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ধর্ষণের পর রেশমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন লতিফ। এমনকি রেশমার জানাজা ও দাফনেও অংশ নেন তিনি।

শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন বগুড়া র‌্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার মো. সোহরাব হোসেন। এর আগে, বৃহস্পতিবার মুন্সিগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আব্দুল লতিফ শেখকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১২।

৬০ বছর বয়সী লতিফ ধুনট উপজেলার বাসিন্দা। তার বাবার নাম আহাদ বকস শেখ। পেশায় তিনি ফার্নিচার বিক্রেতা।

নিহত ৩৮ বছর বয়সী রেশমা খাতুন ওই উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ছিলেন।

গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রেশমা নিখোঁজ হন। চারদিন পর ২২ সেপ্টেম্বর একই উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের কুড়িগাঁতী গ্রামের একটি ইটভাটার পাশে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর ধুনট থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করে নিহতের পরিবার।

র‌্যাব জানায়, হত্যাকাণ্ডের প্রায় সাত মাস আগে লতিফের সঙ্গে পরিচয় হয় রেশমার। ইউনিয়ন পরিষদে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তাদের প্রথম পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তারা ঘনিষ্ঠ হন। ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় একে অপরের সঙ্গে অনেকবার দেখা করেন। ঘটনার দিন রেশমাকে উপজেলার মথুরাপুর এলাকার একটি ইটভাটার পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে যান লতিফ। সেখানে কথাবার্তার একপর্যায়ে কৌশলে পানীয়র সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে রেশমাকে খাওয়ানো হয়। পরে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

এরপর লাশটি ইটভাটার পাশে রেখে পালিয়ে যান লতিফ। নিজেকে সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখতে কৌশলে লাশটি উদ্ধারকাজে স্থানীয়দের সহায়তাও করেন তিনি। পরে রেশমার জানাজা-দাফনেও অংশ নেন। একপর্যায়ে নিজ গ্রাম ছেড়ে প্রথমে ছদ্মবেশী শ্রমিক হিসেবে নোয়াখালীতে কিছুদিন কাজ করেন। সবশেষে মুন্সিগঞ্জে আত্মগোপনে ছিলেন।

র‌্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার মো. সোহরাব হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে লতিফকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১২ এর একটি টিম। লতিফের বিরুদ্ধে আগের একটি ধর্ষণ মামলা রয়েছে। ওই মামলায় লতিফ সাত মাস জেলও খেটেছেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রেশমাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন লতিফ।

ইউএম