কটিয়াদী প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে যৌতুকের জন্য নারী ইউপি সদস্যা ও প্যানেল চেয়ারম্যানকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে তার স্বামী আরিফ মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরিফ মিয়া পার্শ্ববর্তী মনোহরদী উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের মনতলা গ্রামের আতাহার আলীর ছেলে।
মামলার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফজর বানু ওরফে বাসনা সরকার কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্যা ও প্যানেল চেয়ারম্যান। পার্শ্ববর্তী মনোহরদী উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের মনতলা গ্রামের আরিফ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী বিভিন্ন সময়ে ৩ লক্ষাধিক টাকা যৌতুক নেয়। আবারও ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে বাসনা সরকার দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম ও গলাটিপে হত্যাচেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় নির্যাতিত ইউপি সদস্য ফজর বানু বাদী হয়ে ২৬ মার্চ কটিয়াদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলার একমাত্র আসামি আরিফ মিয়াকে সোমবার পুলিশ গ্রেপ্তার করে করে কিশোরগঞ্জ জেলহাজতে প্রেরণ করে।
ইউপি সদস্যা ফজর বানু বলেন, সুখের আসায় আরিফকে বিয়ে করেছিলাম। বিয়ের পর থেকেই সে বিভিন্ন অজুহাতে আমার নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছে। গত সপ্তাহে সে আবার ২ লাখ টাকা দাবি করে। তার চাহিদা মতো আমি টাকা দিতে না পারায় আমাকে বাড়ির পাশের রাস্তায় নিয়ে মারপিট করে শরীরের জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং গলা টিপে হত্যাচেষ্টা করে। রাতের আঁধারে আমি পালিয়ে গিয়ে এক জঙ্গলে লুকিয়ে থাকি। এ ঘটনা আমার বাড়িতে মোবাইল ফোনে জানালে বাড়ি থেকে কাপড় ও সিএনজি নিয়ে মনতলা গ্রামে গেলে আমি রাত ৩টার পরে বাড়িতে আসি। আমি যৌতুক লোভী স্বামীর শাস্তি চাই।
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাত হোসেন বলেন, ইউপি সদস্য ফজর বানু থানায় তার স্বামী আরিফ মিয়ার নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও যৌতুকের জন্য মারপিট করার অপরাধে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর আরিফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জাগরণ/আরকে