কৃষিমন্ত্রী ড. আ: রাজ্জাক বলেছেন, কৃষক এতো কষ্ট করে, যে ঝুকি নিয়ে পেঁয়াজ চাষ করে ও পেয়াজের বীজের চাষ করেন। তাই কৃষককে বাঁচাতে হবে এবং কৃষিকে বাঁচাতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় কৃষি উদ্যোক্তা শাহিদা বেগমের পেঁয়াজ খেত পরিদর্শন শেষে তিনি একথা বলেন।
আ: রাজ্জাক বলেন, উৎপাদন মৌসুমে যাতে আমদানী বন্ধ করা যায়। সেজন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করছি।
এসময় জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ মন্ত্রীকে ফুলের শুভেচ্ছা এবং গার্ড অব অর্নার দেন। পেয়াজ বীজের সফল উদ্যোক্তা শাহিদা বেগমসহ কৃষি বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
পরে মন্ত্রী শাহিদা বেগমের পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শন ও হারভেস্ট কাজের উদ্বোধন করেন।
এসময় কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, এধরনের সফল উদ্যোক্তাদের পাশে আমরা দাঁড়াতে চাই। তাদের মত হাজারো শাহিদা সৃষ্টি করতে হবে। বিনা সুদে ঋনসহ সরকারের সব রকম সুযোগ-সুবিধা ও সহযোগীতার জন্য এই সরকার কাজ করছে। পেঁয়াজ ও বীজে যাতে ন্যায্য মূল্য চাষীরা পান সে বিষয়ে আমার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। দ্রুতই এই সুফল পাবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পেঁয়াজ বীজ হারভেস্টিং এর জন্য আধুনিক যন্ত্র আমদানীর উদ্যোগ নিবো যাতে দ্রুত চাষীরা তাদের এই ঝুকিপূর্ন ফসলটি নিরাপদে ঘরে তুলতে পারেন। বাংলাদেশে বর্তমানে ৫৩ প্রকারের আধুনিক যন্ত্র কৃষিতে ব্যবহার হচ্ছে। আগামীতে সকল ফসলই আধুনিক যন্ত্রের আওয়তায় আনার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
কৃষি অধিদপ্তর ফরিদপুরের উদ্যোগে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন খামার পরিদর্শন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুর সরকার, জেলা পুলিশ সুপার মো: আলিমুজ্জামানসহ জেলার কৃষি বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারী এসময় উপস্থিত ছিলেন।
জাগরণ/আরকে
