দিরাই প্রতিনিধি
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, হাওরের কৃষকরা না খেয়ে থাকবে না। যেসব কৃষকের বোরো ধান তলিয়ে গেছে তাদেরকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। ফসল রক্ষায় নদী খনন করা জরুরী। এই অঞ্চলের অনেক মানুষ ফসল চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করে। এ ফসলকে রক্ষা করতে হবে।
শনিবার (১৬ এপ্রিল ) সকাল ১১ ঘটিকায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত বৈশাখী বাঁধ পরিদর্শন করে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হাওরের পুরো ধান যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে চালের দাম তখন অবশ্যই বাড়বে। তখন কেউ বলবে না যে বন্যার কারণে, হাওরের ধান তলিয়ে গেছে বলে চালের দাম বেড়েছে। বিরোধী দলসহ সবাই তখন খাদ্যমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাব চাইবে কেন চালের দাম বেড়েছে। মিডিয়াও আমাদের পিছনে লাগবে তখন আমাদের কাছে কোন উত্তর থাকেনা। তখন আমরা প্রচন্ড কিটিসিজমের শিকার হই।
তিনি বলেন দেশ আজ উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে, খাদ্য নিয়ে হাহাকার নাই, সংকট নাই। হাওরের মানুষ প্রকৃতির কারনে, প্রকৃতির অভিশাপের কারণে ক্ষুধায় কষ্ট করবে কেন। তারা আমাদের এ দেশের নাগরিক। আমাদের দেশেরই মানুষ। আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবদরদী একজন মানুষ। তাকে আমরা মানবতার মা বলে জানি। ইনশাআল্লাহ সে বেঁচে থাকতে যথটা সম্ভব যে কৃষক ভাইরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের পরিবার পরিজন, সন্তান, মা-বাবা সকলের পাশে আমরা আছি, ইনশাআল্লাহ আমরা থাকব।
আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, পিআইসির বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি অনিয়মের কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলবো। হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ যাতে প্রতি বছর ডিসেম্বরের আগে শুরু করা যায় সেটা নিয়েও আমি কথা বলবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম, শামিমা আক্তার খানম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, সহ- সভাপতি নোমান বকত্ কলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রমুখ।
জাগরণ/আরকে