হাজীগঞ্জে বড় ভাইয়ের ঘুসিতে হাফেজ যুবক নিহত

চাঁদপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২২, ০১:০০ পিএম হাজীগঞ্জে বড় ভাইয়ের ঘুসিতে হাফেজ যুবক নিহত

হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮ নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের হাড়িয়ানায় বড় ভাইয়ের ঘুষিতে ছোট ভাই হাফেজ সেলিম মিয়াজী নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মিয়াজী বাড়ির মৃত মমিনুল হকের দুই সন্তান তারা।

রোববার (১৭ এপ্রিল) সকালে রাস্তা কোন পাশে থাকবে এমন সিন্ধান্ত নিতে ইউপি সদস্যসহ দুই পক্ষের শালিশদারগণ উপস্থিত থাকার কথা। একপক্ষের শালিশদার ঘটনাস্থলে পৌছাতে বিলম্ব হয়। এই বিলম্বের মাঝে জড়িয়ে পড়েন তর্ক-বির্তকে। পরে বড় ভাইয়ের ঘুষিতে বুকে ব্যাথা উঠে হাফেজ সেলিম মিয়াজীর। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বায়তুল আমান জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন।

সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বড় ভাই নজরুল ইসলাম ছোট ভাই মো. সেলিমের বুকে ঘুষি দেয়। আর চাচাতো ভাই সোলেমান সেলিমকে লাথি মারে। এর আগে সেলিম সোলেমানকে গালি দেয়ায় হাতাহাতি শুরু হয়।

হাফেজ সেলিম মিয়াজীর স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও বড় মেয়ে আয়শা জানান, তাদের নতুন ঘরের কাজ চলছে। আগের একটি ঘর ছিল। ঘরটা সরকারীভাবে পেয়েছে। বাড়ির রাস্তা নিয়ে বৈঠকের আগে হাতাহাতি হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হাফেজ সেলিমের প্রথম স্ত্রী ক্যান্সারে মারা যান। পরে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দুই সংসারে তার চার মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।

ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, রোববার সকালে রাস্তার বিষয় নিয়ে বৈঠকের কথা ছিল।  সেলিমের বড় ভাই নজরুল ইসলাম এই বৈঠকের ডাক দেন। সকালে সেলিমের পক্ষের লোকজন না আসায় তিনি বাড়ি চলে যান। পরে মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়।

শালিশদার আবদুস সাত্তার বলেন, দুই ভাইকে একসাথে হাসাতালে নেয়া হয়। সেলিমের পক্ষে আলীগঞ্জের বাবুল নামের একজন শালিশদার আসার অপেক্ষায় বৈঠক শুরু হয়নি। তার আগেই তাদের তর্ক-বির্তক শুরু হয়।

হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ জোবাইর বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারপরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত কাজ চলছে। এদিকে দুই ভাই একসাথে হাসপাতলে চিকিৎসা নিতে গেলেও ঘাতক বড় ভাই নজরুল ইসলাম হাসপাতাল থেকে  পরীক্ষা-নিরিক্ষার কথা বলে পালিয়ে যায়। 

জাগরণ/আরকে