ফুলবাড়ী প্রতিনিধি
দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিকদের স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগদানসহ করোনা কালীন বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতি (২১ এপ্রিল) এর মধ্যে শ্রমিকদের দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি গেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কয়লা খনি বাজার প্রদক্ষিণ করে খনি গেটে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলাম শ্রমিক নেতা এহাসানুল হক সোহাগ, এরশাদ আলী ও আবু তাহের প্রমুখ।
এসময় বক্তরা বলেন, আমরা খনির সূচনালগ্ন থেকে কয়লা খনির আন্ডারগ্রাউন্ড প্রায় ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কয়লা উত্তোলন করে এসেছি। করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি লকডাউন ঘোষণা করে। ওই সময় আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করি এবং করোনা কালীন সময়ে কিছু সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে কয়লা উত্তোলন অব্যাবত ছিল।
তারা আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সকল সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠান পূর্বের মতোই চালু হলেও অজ্ঞাত কারণে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে আমাদের স্ব-স্ব কর্মস্থলে খনি কর্তৃপক্ষ যোগদানের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। একই সাথে খনি কর্তৃপক্ষ ঘোষিত করোনা কালিন বেতন ভাতা না পাওয়ায় আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।
অবিলম্বে ২১ এপ্রিলের মধ্যে শ্রমিকদের স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগদানসহ করোনা কালিন বকেয়া বেতন ভাতা প্রদান না করলে আমরা কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিতে বাধ্য হবো।
উল্লেখ্য যে, এসব দাবি নিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ১১ এপ্রিল খনি কর্তৃপক্ষের কাছে একটি স্মারক লিপি প্রদান করেন। ওই দিন ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ২০ ও ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
বিষয়টি নিয়ে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগযোগ করা হলেও তিনি ফোন কলটি রিসিভ করেননি।
জাগরণ/আরকে
