দোহারে আরাম-নগরের কাছে জিম্মি যাত্রী

নবাবগঞ্জ , দোহার প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২২, ০৪:৩৩ পিএম দোহারে আরাম-নগরের কাছে জিম্মি যাত্রী

ঢাকার দোহার উপজেলায় গত ১৯ বছর ধরে চলছে আরাম ও নগর পরিবহনের স্বেচ্ছাচারিতা। কচ্ছপ গতিতে চলাচলের কারণে যাত্রীরা হয়রানীর শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বার বার অভিযোগের পরেও এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। 

এছাড়া আসছে ঈদকে সামনে রেখে গণ পরিবহনে চরম নৈরাজ্য চলছে। এদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে যাত্রীরা। অপরদিকে ফিটনেসবিহীন হিসাবে গন্য অধিকাংশ পরিবহনগুলো চলছে এই রুটে। 

পাশাপাশি সড়কে ঘন্টার পর ঘন্টা এক পরিবহন আরেক পরিবহনের গাড়ীকে আটকে রাখছে। ফলে যাত্রী সেবার মান নেই বললেই চলে এমন অভিযোগ প্রায় কয়েক হাজার যাত্রীদের। সাধারনত এই সব বাসের আসন ৩৬/৪৮ হলেও প্রতিটি বাসে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বহন করে। 

যাত্রীভাড়া তুলনামুলক মাত্র ৫০ কিলোমিটারে যাত্রীদের ভাড়া ৯০ থেকে ১১০ টাকা। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে সমালোচনা।

কাউন্টার সার্ভিস এর নামে আরাম পরিবহন ও নগর পরিবহন পুরোটাই ভেল্কিবাজি করে যাত্রীদের সাথে। জয়পাড়া থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত বিরতিহীন কাউন্টার থাকলেও এর আগে-পরেও যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানামা করায় এবং আসন শেষ হওয়ার পরও  যাত্রীদের  দাড়িয়ে শুধু নয় একজনের সাথে আরেকজনের শরীর মিলিয়ে বহন করে থাকে। 

এছাড়াও সময়মতো গাড়ি চলাচল করে না। সন্ধ্যা হলেই এসব গাড়ীর চালক হিসেবে হয়ে উঠে গাড়ির হেলপাররা। পাশাপাশি দোহার জয়পাড়া-গালিমপুর হয়ে ঢাকা রুট চলাচলকারী জয়পাড়া পরিবহনের ও ডিএনকে পরিবহন বাসগুলোর সময় নিয়ন্ত্রন না থাকায় এবং ফিটনেসবিহীন বাসগুলোর অবস্থা আরও করুন থাকায় এ পথ দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের হয়রানী ও ভোগান্তি শেষ নেই। 

এ বিষয়ে আরাম পরিবহনের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জামাল হোসেনকে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি একটু অসুস্থ, ঢাকায় থেকে ডাক্তার দেখিয়ে এসেছি। তাই কথা বলতে পরিতেছি না, পরে আপনার সাথে কথা বলবো।

এ বিষয়ে নগর পরিবহনের দায়িত্বে থাকা আবদুল রশিদ বলেন, আমাদের বাস লোকাল বাস তাই আমরা লোকাল যাত্রী উঠাই এবং নামাই। কিন্তু আরাম পরিবহন লিমিটেড তাদের বাস সিটিং সার্ভিস তারা কাউন্টার ছাড়া যাত্রী উঠায় ও নামায়। আমাদের বাসের আগে তাদের বাস ছাড়া হয়। কিন্তু আমাদের বাস ছাড়ার পর তাদের বাস কিছু দূর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ কারণেই এক বাস আরেক বাসের সাথে চলাচল করতে দেখা যায়। এ নিয়ে অনেক বার বসা হয়েছে এবং চিঠিও দেওয়া হয়েছে কিন্তু কেন সমাধানে আসছে না জানিনা। আমরাও চাই এটির সমাধান। আর ঈদে ড্রাইভার ও হেলপারদের বকশিশ দিতে হয়। 

এ বিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল জানান, জনসাধারনের চলাচলের জন্য বিষয়টি গুরুত্বপূর্ন, তবে চাদাঁবাজির বিষয়টি তার জানা নেই। পরিবহন মালিকরা অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.আলমগীর হোসেন জানান, জনসাধারনের চলাচলের জন্য বিষয়টি গুরুত্বপূর্ন। প্রতিদিনই এ পথ দিয়ে ঢাকা টু দোহার এবং দোহার টু ঢাকা মুখে চলাচলকারীর সংখ্যা অনেক অনেক বেশী। আর এর সুযোগ লুফে নিচ্ছে এক শ্রেনীর লুটেরা। খুব শ্রীঘ্রই আমরা এর প্রতিকার করবো এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ী জব্দ করবো।

জাগরণ/আরকে