পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন সীমা আক্তার নামে এক তরুণী। শনিবার সকালে ঐ উপজেলার মানসুরাবাদ গ্রামে বাবার বাড়িতে বিষপান করেন তিনি।
বর্তমানে সীমা আক্তারকে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর আগে, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে পাঁচদিন অনশন করেন ঐ নারী।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একাধিক সূত্র জানায়, সীমা আক্তার নামে ঐ নারী সোমবার থেকে বিয়ের দাবিতে সুবিদখালী বাজারের সার ও কীটনাশক বিক্রেতা মো. রায়হান আলীর বাংলা চাইনিজ সংলগ্ন বাসায় অবস্থান করছিলেন। রায়হান উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামের মতি মৃধার ছেলে।
সীমা আক্তারের দাবি, সাড়ে চার বছর আগে দক্ষিণ কলাগাছিয়া গ্রামের মধু চাপরাসীর ছেলে শহীদুল্লাহর সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তাদের তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে। স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে রায়হানের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় রায়হান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বহুবার শারীরিক সম্পর্ক করেন এবং তার আগের স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন। কিন্তু বিয়ের জন্য চাপ দিলে রায়হান বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।
এ কারণে বিয়ের দাবিতে রায়হানের বাড়িতে পাঁচদিন দিন অবস্থান করেন সীমা। তবে শুক্রবার তার বাবা জব্বার জোমাদ্দার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যান এবং শনিবার সকালে সেখানেই তিনি বিষপাণে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, ঐ তরুণীর চিকিৎসা চলছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি।