শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিপন্ন বন্যপ্রাণী তক্ষকসহ প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে র্যাব।
শনিবার বিকেলে উপজেলার ঘাগড়া তেঁতুলতলা বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন ঢাকার মগবাজারের নয়াটোলা এলাকার আশরাফুল করিমের ছেলে মো. সিরাজুল করিম ও শেরপুর সদরের মির্জাপুর কান্দিপাড়া এলাকার শাহ মাহমুদের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম।
জানা যায়, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিকউজ্জামানের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল ঘাগড়া তেঁতুলতলা বাজারের সামনের রাস্তায় অবস্থায় নিয়ে চেকপোস্ট বসায়। এ সময় একটি তক্ষক পাচারকালে ওই দুই ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
স্কোয়াড্রন লিডার আশিকউজ্জামান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে শেরপুর জেলার বিভিন্নস্থানে বন্যপ্রাণী তক্ষক ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল এই চক্রটি। তাদের বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা বলেন, তক্ষক গিরগিটি প্রজাতির র্নিবিষ নিরীহ বন্যপ্রাণী। সাধারণত পুরনো বাড়ির ইটের দেয়াল, ফাঁক-ফোকড় ও বয়স্ক গাছে এরা বাস করে। কীটপতঙ্গ, টিকটিকি, ছোট পাখি ও ছোট সাপের বাচ্চা খায়। আন্তর্জাতিক প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল তালিকা অনুযায়ী এটি বিপন্ন বন্যপ্রাণী।
তিনি বলেন, তক্ষকের দাম ও তক্ষক দিয়ে তৈরি ওষুধ নিয়ে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয়েছে। আর গুজবে বিশ্বাস করে এক শ্রেণির লোকেরা রাতারাতি ধনী হবার স্বপ্নে তক্ষক শিকারে নেমেছে। মূলত ব্যাপক নিধনই তক্ষক বিলুপ্তির প্রধান কারণ। এছাড়া তক্ষক দ্বারা তৈরি বিভিন্ন ওষুধের উপকারিতা নিয়ে যা শোনা যায়, বৈজ্ঞানিকভাবে তার কোনো ভিত্তি নেই। তারপরও এই গুজবটির কারণেই প্রাণীটি হারিয়ে যেতে বসেছে।