একাধিক বিয়ে হলেও অন্য পুরুষের সঙ্গে মিশতেন সালেহা। হতেন ঘনিষ্ঠ। অনৈতিক সম্পর্ক করেই দিন কাটাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু মায়ের নিষিদ্ধ সম্পর্কের বলি হলো ছোট্ট সন্তান। হতে হলো লাশ। ঘটনাটি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মানিকদ্বিপা উত্তরপাড়া বটতলা গ্রামের।
মঙ্গলবার সকালে বটতলা গ্রামে সবজি ক্ষেতে পাওয়া শিশুটির লাশের পরিচয় মেলার পর মায়ের পরকীয়ার কারণেই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
শিশুটির নাম সামিউল। সে উপজেলার সাজাপুর পূর্বপাড়া তালিমুল কুরআন হাফেজিয়া মাদরাসার আবাসিক শিক্ষার্থী ছিল। মঙ্গলবার সকালে সামিউলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে, সোমবার সন্ধ্যায় মাদরাসা থেকে ‘সৎ বাবা’ পরিচয় দিয়ে সামিউলকে ঘুরতে নিয়ে যান ফজলু নামে একজন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিল সামিউল। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
আট বছর বয়সী সামিউল শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার মায়ের নাম সালেহা বেগম। মাদরাসার নথিতে তার বাবার নাম লেখা রয়েছে জাহাঙ্গীর। সামিউলের মা সালেহা একজন হোটেল শ্রমিক। এছাড়া অন্যর বাড়িতে রান্নার কাজ করতেন তিনি।
মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুবেল মণ্ডল জানান, সোমবার সন্ধ্যায় সৎ বাবা পরিচয়ে সামিউলেকে নিয়ে যান ফজলু। মাঝে মধ্যেই মাদরাসায় এসে সামিউলের খোঁজখবর নিতেন তিনি। সামিউলই জানিয়েছিল লোকটি তার সৎ বাবা।
তিনি আরো জানান, সামিউলের মা সালেহার একাধিক বিয়ে হয়েছে। কতজন স্বামীর সঙ্গে সালেহা যোগাযোগ রাখেন তা জানা নেই। তবে সোমবার সামিউলকে যিনি নিয়ে যান, তিনি প্রায়ই মাদরাসায় আসতেন।
স্থানীয়রা জানায়, সকাল ৭টার দিকে জমিতে কাজ করতে যান কয়েকজন কৃষক। এ সময় লাউয়ের বাগানের মাচার বাঁশের সঙ্গে দড়ি দিয়ে পেঁচানো এক শিশুর লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন তারা। পরে লাশটি উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
জানা গেছে, সামিউলের মা সালেহা একাধিক বিয়ে করেন। এরপরও অনেক পুরুষের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। সালেহার একাধিক বিয়ে বা পরকীয়া সংক্রান্ত কোনো দ্বন্দ্বেই সামিউলকে হত্যা করা হয়েছে।
শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রউফ জানান, লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা হবে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।