রংপুরের কাউনিয়ায় এক গৃহবধূর গোসলের ভিডিও গোপনে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মাজেদুল ইসলাম বসুনিয়া নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
বুধবার রাতে অভিযুক্তকে নগরীর কেরামতিয়া এলাকা থেকে র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করা হয়েছে দুই মাস আগে। ভুক্তভোগী গৃহবধূ নিজেই মামলা করেন।
গ্রেফতারকৃত মাজেদুল ইসলাম বসুনিয়া কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের মহির উদ্দিন বসুনিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, হারাগাছ ইউনিয়নে ঐ গৃহবধূর দুই সন্তানকে ৩-৪ বছর আগে প্রাইভেট পড়াতেন একই এলাকার মাজেদুল ইসলাম বসুনিয়া। বাড়িতে গিয়ে পড়ানোর সুযোগে একদিন গোপনে ঐ গৃহবধূর গোসলের ভিডিও ও ছবি ধারণ করেন। পরে সেই ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর ভয় দেখানোসহ তার সন্তানদের ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে বারবার ধর্ষণ করেন।
২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর কেউ না থাকার সুযোগে মাজেদুল ঐ বাড়িতে গিয়ে গৃহবধূকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে নিরুপায় হয়ে সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় চলে যান ভুক্তভোগী। সেখানে গিয়েও রেহাই পাননি। ঢাকায় থাকাকালীন তাকে শারীরিক সম্পর্কের লিপ্ত হতে বলেন মাজেদুল। এতে রাজি না হওয়ায় গত ১২ মার্চ ভুয়া নামে ফেসবুক আইডি খুলে ভুক্তভোগীর একটি আপত্তিকর ছবি তার দুই ছেলের মেসেঞ্জারে পাঠান।
গত ১১ এপ্রিল ঐ গৃহবধূ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে কাউনিয়া থানায় মাজেদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
কাউনিয়া থানার ওসি মাসুমুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পরই অভিযুক্ত মাজেদুল গা-ঢাকা দেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার রাতে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে রংপুর মহানগরীর কেরামতিয়া এলাকা থেকে মাজেদুল ইসলাম বসুনিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশে তাকে কাররাগারে পাঠানো হয়েছে।