চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহে আদালতের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একটি আশ্রমের জায়গায় বাহিরাগতদের টিনের বেড়া ও ঘর নির্মাণ অব্যহত রয়েছে। যার ফলে আকবরশাহস্থ গুরুকূল ব্রহ্মচর্য্য আশ্রমের ভক্তবৃন্দ ও বসবাসকারীরা আতংকে রয়েছে।
এদিকে ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ এবং আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে গুরুকূল ব্রহ্মচর্য্য আশ্রম পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শচীন্দ্র লাল দে চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার ও স্থানীয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে আব্দুল মালেকের পুত্র আবু মাসুদ আজাদ (৫৫), মৃত মাজহারুল ইসলামের পুত্র মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী (৫০), মৃত আমির হোসেনর পুত্র মো. মুজিবুর রহমান (৫০), আশ্রাফের পুত্র সামসুদ্দিন বাদল(৪০), ফরুক আহমদের পুত্র নুরুল হক মান্না প্রকাশ রহিঙ্গা, মৃত আব্দুর সোবানের পুত্র হাসান মো. রায়হান, আব্দুর মোতালেবের পুত্র মো. আলা উদ্দিন (৩৭), রাজা মিয়ার পুত্র মো. লিটন (৩০), সাহাব উদ্দিনের পুত্র সাইফুল প্রকাশ মোটা সাইফুল (৩০), মৃত লাল মিয়ার পুত্র মো. বাহার প্রকাশ কালা বাহার (৪৫) কে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, গুরুকূল ব্রহ্মচর্য্য আশ্রমের ৩২.০৯ একর ভূসম্পত্তি দেবত্তোর সম্পত্তি হয়। উক্ত সম্পত্তি ব্যয় হস্তান্তর প্রজাপত্তন অযোগ্য। বহিরাগত চিহ্নিত কিছু ভূমিদস্যু উল্লেখিত বি.এস ৩১২ দাগের দেবোত্তর সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টায় থাকলে গুরুকূল ব্রহ্মচর্য্য আশ্রম পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শচীন্দ্র লাল দে বাদী হয়ে চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামালা (নং-০১/২০২২) দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আশ্রমের জমিতে বিবাদীদের অনুপ্রবেশ না করতে এবং আবেদনকারীর শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে বিঘ্ন সৃষ্টি না করতে নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রচার করেন। কিন্তু অভিযুক্তরা সন্ত্রাসীদের টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে দখলের পাঁয়তারা অব্যাহত রেখেছে।