নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেএ ডাক্তারের অবহেলার জেসমিন আক্তার (৩২) এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুব্দ স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে নার্সেস কক্ষে ও অক্সিজেন কক্ষ ভাংচুর করে। পরে খবর পেয়ে সেনবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিহত জেসমিন আক্তার সেনবাগ উপজেলার ৭নং মোহাম্মদপুর ইউপির মোহাম্মদপুর গ্রামের বাহার উল্যার স্ত্রী। ওই ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেএ। এঘটনা ৩ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত কমিটি ঘঠন করেছে নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার দুপুর ৩টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় গৃহবধূ জেসমিনকে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেএ ভর্তি করে স্বজনরা। একপর্যায়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে রোগী মারা যায়। কিন্ত নিহতের স্বজনদের দাবি কর্তব্যরত চিকিৎসকের অবহেলায় তার মৃত্যু হয়েছে। এতে রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে নার্সেস ও অক্সিজেন কক্ষ ভাংচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেনবাগ থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে নিহতের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আজ সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ মহিবুস সালাম খান সবুজ মৃত্যু বরনকারী রোগী জেসমিন ১৪দিন যাবত জ্বরে আক্রান্ত ছিলো রোবাবর অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করান তার স্বজনরা। পববর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যৃ হয়। এ এখানে রোগীর কোন রকম চিকিৎসার অবহেলা হয়নি বলে দাবী ডাক্তার মোঃ মহিবুস সালাম খান সবুজের। তিনি অভিযোগ করে বলেন রোগীর স্বজনরা ডিউটি নার্সদের কক্ষে হামলার করে ও অক্সিজেন কক্ষ ভাংচুর চালায়। ফলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ওই গৃহবধূ জ্বরে ভূগছিলেন। এর আগেও নাকি তাঁর স্বজনরা তাকে দুইবার সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে নিয়ে যায়। নিহতরে স্বজনদের অভিযোগ সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তির দুই ঘন্টায় মাথায় রোগী মারা যায়। ওসি আরো জানায়, তবে এ ঘটনায় নিহতের পরিবার কোন লিখিত অভিযোগ দেয় নি।
এ বিষয়ে নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডাক্তার মাসুম ইফতেখারের রোগীর মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি ঘটন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।