কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুই ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে এ তথ্য জানান কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ
ভৈরবে গঠিত জরুরি কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সালেহ (ভৈরব এসি ল্যান্ড অফিসের কর্মকর্তা) জানান, ভয়াবহ এ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২ নারী ও ১৫ পুরুষ নিহত হয়েছেন।
এর আগে সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে ভৈরবের আউটার স্টেশনে একটি মালবাহী ট্রেন আন্তঃনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেসের পেছনে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে এগারসিন্দুর এক্সপ্রেসের দুটি বগি যাত্রীসহ উল্টে যায়।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকাল অফিসার ফারিয়া নাজমুন প্রভা জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৬ জনের লাশ হাসপাতালে আনা হয়েছে।
দুর্ঘটনার ফলে ঢাকার সাথে চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী ও মংমনসিংহের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
পুলিশ জানায়, ভৈরবে যাত্রীবাহী এগারসিন্ধু এক্সপ্রেস ও মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ট্রেনের নিচে এখনো অনেকেই চাপা পড়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেন ভৈরব স্টেশনে প্রবেশ করার আগ মুহূর্তে ভৈরব থেকে এগারসিন্ধু ট্রেন ঢাকার দিকে রওনা হয়। জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় এগারসিন্ধু ট্রেনের শেষের দুই-তিনটি বগিতে কন্টেইনারবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন আঘাত করে। এতে দুর্ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও র্যাব উদ্ধার কাজ করেছে।
ফায়ারসার্ভিস জানিয়েছে, ৮টি ইউনিট কাজ করছিলো, আরও ৫টি ইউনিট যাচ্ছে। উদ্ধারকাজে যোগ দিতে ঢাকা সদর দপ্তর থেকে ২৩ জন, নরসিংদী থেকে ১০ জন এবং বেলাবো থেকে ৩ জন ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মী ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
রেল কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোন ট্রেনের চলাচল বাতিল ঘোষণা করেনি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যে ট্রেনের সিডিউল বাতিল করা হবে সেই ট্রেনের যাত্রীদের টিকেটের মূল্য ফেরত দেয়া হবে।