কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দান বাক্সে এবার তিন মাস ২০ দিনে পাওয়া গেছে ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা। এছাড়াও রয়েছে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রা।
শনিবার সকাল থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত চলে গণনার কাজ।
আগে এসব অর্থ জেলার অন্যান্য মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার উন্নয়নসহ গরীব মেধাবী ছাত্রদের জন্য ব্যয় করা হলেও, এবার পাগলা মসজিদকে ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আন্তর্জাতিক মানের কমপ্লেক্স বানানোর কাজে এসব টাকা ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মসজিদের ৯ টি লোহার দানসিন্ধুক যেন টাকার খনি। খুলতেই দেখা যায় শুধু টাকা আর টাকা। এসব টাকা বস্তায় ভরে নেয়া হয় ওই মসজিদেরই দোতলায়। পরে, মসজিদের মেঝেতে বসে টাকা গুনেন প্রায় দেড়শো মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষকসহ ষাট জন ব্যাংক কর্মকর্তা।
তিন মাস পরপরই এমন দৃশ্যের দেখা মিলে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে।
এবার তিন মাস ২০ দিন পর শনিবার সকালে মসজিদের ৯ টি দানবাক্স খুলে বের করা হয় ২৩ বস্তা টাকা। এছাড়াও পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, রূপা ও স্বর্ণালংকার।
এর আগে, চলতি বছরের আগস্ট মাসের ১৯ তারিখে এসব দানবাক্স খুলে তিন মাস তেরো দিনে মিলেছিল ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকাসহ বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণ ও রূপার অলংকার।
পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত আলী বলেন, ‘দানবাক্সের নগদ টাকা ছাড়াও প্রতিদিন প্রাপ্ত গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন সামগ্রী প্রতিদিনই বিক্রি করে টাকা রূপালী ব্যাংকে রাখা হয়।’
এরই মধ্যে দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত এ পাগলা মসজিদের আয় দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্স নির্মাণ করার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান মসজিদের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ।
জাগরণ/স্বদেশ/এসএসকে