দেশে প্রতি মাসে গড়ে ৮০ শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে 

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০১৯, ০৭:২৪ পিএম দেশে প্রতি মাসে গড়ে ৮০ শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে 
প্রতীকী ছবি

চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন) মোট ৪৯৬ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বিগত বছরে এই সংখ্যা ছিল ৩৫১। ২০১৮ সালে পুরো ১২ মাসে শিশু ধর্ষণের সংখ্যা ছিল ৫৭১ জন। গত বছরের তুলনায় এই বছরের প্রথম ৬ মাসে দেশে শিশু ধর্ষণ বেড়েছে শতকরা ৪১ভাগ, যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।

শুধুমাত্র এপ্রিল এবং মে এই দুই মাসেই শিশু ধর্ষণ হয়েছে ২৪১ জন। যা মোট ধর্ষণের অর্ধেকেরও বেশি। অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে ৮০টির অধিক শিশু ধর্ষিত হয়েছে যা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।

সোমবার (৮ জুলাই) বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম (বিএসএএফ) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। ১৫টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত শিশু অধিকার লঙ্ঘনের সংবাদ পর্যালোচনা করে তারা এ রিপোর্ট প্রকাশ করে।

বিএসএএফর পরিচালক আবদুছ সহিদ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এ রিপোর্টে বলা হয়, এই বছরের প্রথম ৬ মাসে ধর্ষণ হওয়া ৪৯৬টি শিশুর মধ্যে ৫৩টি শিশুকে গণধর্ষণ করা হয়েছে এবং ২৭টি প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ জন শিশুকে ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও এই ৬ মাসে ৭৪টি শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। চলতি জুলাই মাসের এই ৭ দিনে পত্রিকার পাতায় ৪১ জন শিশু ধর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ৬ শিশুকে দলবেঁধে, ৫ প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ এবং ৩ শিশুকে ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১০ শিশুকে। বিএসএএর তথ্য অনুযায়ী গত ৪ মাসে সর্বনিন্ম আড়াই বছর বয়সের শিশুও ধর্ষণের শিকার
হয়েছে।
 
উল্লেখ্য, সব ঘটনা পত্রিকায় রিপোর্টেড হয় না। তাই ধর্ষণের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে বলে বিএসএএফ মনে করে। ধারাবাহিকভাবে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটতে থাকায় এবং এসব ঘটনার নৃশংসতায় নাগরিক হিসেবে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। এসব ঘটনা আমাদের সমাজে শিশুদের অসহায় অবস্থার সার্বিক চিত্রটাই তুলে ধরছে। 

শিশু অধিকার ফোরামের মতে, শিশু ধর্ষণের ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধির কারণ মূলত, অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া, দুর্বল চার্জশিট, বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা এবং সর্বোপরি সামাজিক মূল্যবোধের ব্যাপকমাত্রায় অবক্ষয় ইত্যাদি। এসব প্রতিহত করতে আরও তড়িৎ হস্তক্ষেপ এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ ও দপ্তরসমূহকে অনুরোধ করছি।


টিএস/একেএস

আরও সংবাদ