মামুনুল হকের সহায়তা আসে পাকিস্তান থেকে

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২১, ১২:০০ এএম মামুনুল হকের সহায়তা আসে পাকিস্তান থেকে

রিমান্ডে গোয়েন্দা পুলিশকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সেক্রেটারি মামুনুল হক। সরকারকে উৎখাত করতে চেয়েছিলেন মামুনুল হক এবং তাতে সহায়তা দিয়েছিল বিরোধী দল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও পাকিস্তান।

গত ২২ এপ্রিল বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস। দীপাঞ্জন রায় চৌধুরীর করা সেই প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সুবর্ণজয়ন্তী ঘিরে হেফাজত যে সহিংসতা চালিয়েছে, তা বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে শলাপরামর্শের ভিত্তিতেই হয়েছে। আর তহবিল এসেছে পাকিস্তান থেকে। আফগানিস্তানে (তালেবানদের পক্ষ হয়ে) যুদ্ধ করা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জিহাদিদের সঙ্গেও মামুনুলের যোগাযোগ রয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুলই এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার সফরের বিরোধিতা করে হেফাজতে ইসলাম। মাদরাসা ছাত্রদের দিয়ে করানো হয় আন্দোলন, বিক্ষোভ। আর এসব করিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হক। মামুনুলের পরিকল্পনা ছিল মোদির সফরবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের সহযোগিতা নিয়ে সরকারকে উৎখাত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করা।

ঢাকা সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে ইকোনমিক টাইমস। দীপাঞ্জন রায় চৌধুরীর লেখা এ প্রতিবেদন শুক্রবার দৈনিকটির অনলাইনে প্রকাশ পেয়েছে।

পুলিশের হাতে কিছু নথিপত্র এসেছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, মোদির ঢাকা সফরের এক মাস আগেই দেশজুড়ে নাশকতা চালানোর ছক আঁকা হয়। সেই ছক অনুসারে উপাসনালয়, আওয়ামী লীগের কার্যালয়, সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের নির্দেশনা দেয়া হয়। আর এই নাশকতা চালানোর অর্থ প্রথমে আসে পাকিস্তান থেকে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে প্রবাসী কিছু বাংলাদেশি সরকারবিরোধী সমাবেশ ও কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ পাঠায়।

২০১৩ সালে সরকার পতনের অনেক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হেফাজতের চক্রান্ত হয় উল্লেখ করে শনিবার (২৪ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, “হেফাজতকে কাজে লাগিয়ে সরকার পতনের একটি অপচেষ্টা চালিয়েছিল। এ বছর আবার যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে যে নাশকতা হলো, সেখানে একই ধরনের আরেকটি চক্রান্ত হয়েছে। এটা তদন্তে অনেকটাই পরিষ্কার হয়েছে। সবচে বড় কথা হলো, হেফাজত নিজেদের অরাজনৈতিক দল বলছে। কিন্তু বাস্তব হলো তাদের অনেকেই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।”

হেফাজত নেতারা কী চান, এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলম বলেন, “তারা আসলে চান সরকার পতনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বা আফগানিস্তান মডেল বানানোর পরিকল্পনা আছে।”

তাছাড়া হেফাজতের মধ্যে বেশ কয়েকটি ভাগ আছে বলেও দাবি মাহবুবের। একটি পক্ষ উগ্রবাদের পক্ষে, যাদের নাম জানার চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে গ্রেপ্তারও অব্যাহত আছে।