স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া ছিলো জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুর রহমানের। বিষয়টি জানার পর ইমামকে নিষেধ করতে মসজিদে গিয়েছিলেন স্বামী আজহার। সেখানে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে আজহারকে গলা কেটে হত্যা করে ইমাম। এভাবে হত্যার পর মরদেহ ছয় টুকরা করে মসজিদের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখেন ওই ইমাম।
হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা আবদুর রহমানকে দক্ষিণখানে মাদরাসাতুর রহমান আল আরাবিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকেলে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আবদুল মোত্তাকিম।
র্যাব জানিয়েছে, আসমা আক্তারই তার স্বামী আজহার হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী। তার পরিকল্পনাতেই আজহারকে গলা কেটে মরদেহ ছয় টুকরা করে সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেন মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমান। হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী ভিক্টিমের স্ত্রী আসমা আক্তারকে আটক করা হয়েছে। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীর হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি জানা গেছে।
এদিকে স্থানীয় কয়েকজন মুসল্লি জানান, মাওলানা আব্দুর রহমান ৩০ বছর ধরে এই মসজিদে ইমামতি করছেন। ভিকটিম আজহারের ৪ বছরের ছেলে মো. আরিয়ান ও আজহার নিজে সরদার বাড়ি জামে মসজিদের মক্তবে ইমামের কাছে কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করতো। এই সুবাদে ভিকটিমের বাসায় প্রায়ই আসা যাওয়া করতো ইমাম। এভাবে আসমার সঙ্গে ইমামের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, স্ত্রীর সঙ্গে ইমামের পরকীয়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ১৯ মে রাতে রাজধানীর সরদারবাড়ি জামে মসজিদে ইমামের কক্ষে যাওয়ার পর থেকেই আজহার নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এক পর্যায়ে মসজিদের সিঁড়িতে রক্তের দাগ ও সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার তথ্য পায় র্যাব। মঙ্গলবার ভোরে ইমামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার ঘটনা বেরিয়ে আসে।