কুষ্টিয়ায় নিজের স্ত্রী ও শিশুসন্তানসহ তিনজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা পুলিশের অতিরিক্ত উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়কে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে শহরের কাস্টম মোড় এলাকায় স্ত্রী আসমা খাতুন ও তার শিশুসন্তান রবিন এবং শাকিল খান নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেন সৌমেন। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৌমেন জানিয়েছেন, নিহত যুবক শাকিলের সঙ্গে তার স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল। তাই তিনি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
এ ঘটনায় সৌমেন রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে রেঞ্জ কার্যালয় ও খুলনা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহাবুব হাসান জানান, এসএসআই সৌমেন রায় ছুটি না নিয়ে ভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। ঘটনার পর জানতে পারেন সৌমেন কুষ্টিয়ায়। তাঁর বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) তানভীর আহমেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সৌমেনের গ্রামের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত আসমা খাতুনের সঙ্গে সৌমেনের দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি তাঁর পরিবার বা শ্বশুরবাড়ির পরিবারের কেউ জানত না।
সৌমেন পারিবারিকভাবে ২০০৫ সালে পাশের গ্রামে বিয়ে করেন। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি খুলনায় থাকেন। সেই স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো নারীর সঙ্গে সৌমেনের বিয়ের বিষয়টি পরিবারের জানা ছিল না।
সৌমেনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তার বাবা অনেক বছর আগে মারা যান। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সৌমেন মেজ। পুলিশের চাকরি পাওয়ার পর ২০০৫ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন তিনি। সেই পরিবারে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া একটি মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া একটি ছেলে রয়েছে।