ইভ্যালির লকার ভেগ্ঙে যা পাওয়া গেল

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২২, ০৫:০৩ পিএম ইভ্যালির লকার   ভেগ্ঙে যা পাওয়া গেল

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি সংগ্রহ করতে গত বছরের ২৩ নভেম্বর কারাগারে থাকা প্রতিষ্ঠানের সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে তাদের ধানমন্ডির অফিসের লকারগুলোর ‘কম্বিনেশন নম্বর’ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

তবে তারা পাসওয়ার্ড বা কম্বিনেশন নম্বর না দেওয়ায় আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে ভাঙা হয় একটি লকার।

দুপুর আড়াইটার দিকে ধানমন্ডিতে ইভ্যালির কার্যালয়ে আসেন আদালত কর্তৃক মনোনীত পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকসহ অন্যরা।

বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ইলেকট্রিক কাটার দিয়ে লকার কাটার কাজ শুরু হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাত। এছাড়া ধানমন্ডি থানার একটি দলও উপস্থিত ছিল।

বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে একটি লকার কাটা শেষ হয়। তাতে সিটিসহ কয়েকটি ব্যাংকের শত শত চেকবই পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন ফাইলে কিছু নথিপত্রও দেখা গেছে।

এ বিষয়ে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, আমাদের আরেকটি লকার আছে নিচতলায়। সেটাও ভাঙা হবে। আপনারা তো দেখলেন কী পাওয়া গেল, শুধু চেকবই। আমরা তো হতাশ। আমরা আশা করেছিলাম টাকা-পয়সা থাকবে, দরকারি কাগজপত্র থাকবে, যা পেলাম এগুলো কোনো কাজেই আসবে না।

তিনি আরও বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে হয়তো অডিটর নিয়োগ দেবো। সেজন্য কাগজপত্র রেডি করা হচ্ছে। অডিটররা আমাদের তিনটা গোডাউন আছে সাভারে সেখানে যাবে, দেখবে কী কী আছে।

ইভ্যালির গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোনো কোম্পানি দেউলিয়া হলে সেখানে আনুপাতিক হারে পরিশোধ করতে হয়। এখানে মার্চেন্ট, গ্রাহক দুই ধরনের পাওনাদার আছেন। আমাদের সিদ্ধান্ত হলো আমরা কাস্টমারদের পাওনা আগে দেবো।

প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তারা কারাগারে।

গত ১৮ অক্টোবর আদালত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি দেখভাল করতে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করেন।

ইউএম