ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর ছাত্রসমাজ ও দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আমি আমার প্রাণনাশের শঙ্কাবোধ করছি। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, দয়া করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ও প্রতিবাদী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হোন।
তিনি বলেন, ভিপি হওয়ার আগ থেকে পর পর্যন্ত ৮ বার হামলার শিকার হয়েছি। আমি আমার প্রাণনাশের শঙ্কাবোধ করছি।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি দেশবাসীর প্রতি এ আহ্বান জানান।
নূরে বলেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি। শুধু অন্যায়-অনিয়মের প্রতিবাদ করার কারণেই আমি ও ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীরা বারবার ক্ষমতাসীন দলের রোষানলের শিকার হয়েছি। ক্ষমতাসীন দলের নেতা ছাড়াও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের কাছ থেকেও প্রতিনিয়ত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য নুর বলেন, কিছু দিন আগেও বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আপনি নিজেই বলেছেন- সরকারের সমালোচনা করতে বাধা নেই, দেশে ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে।তাই আপনার কাছে অনুরোধ- ভিন্নমতের মানুষের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে আপনার দলের নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন। দেশে শাসন প্রতিষ্ঠায় দলীয় প্রভাবমুক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কার্যকর করুন।ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধ করুন এবং যারা হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিন। কারণ অন্যায়ভাবে কাউকে হয়রানি করে তার মুখ বন্ধ করা যায় না।
নূর বলেন, জাতির পিতাই বলে গেছেন- ‘বাঙালি জাতিকে তোমরা দাবায়া রাখতে পারবা না’।
সম্প্রতি নিজ এলাকায় হামলার শিকার হন নুরুল হক নুর। এর প্রসঙ্গে নুর বলেন, ‘গত ১৪ আগস্ট চরবিশ্বাস থেকে আমার বোনের বাড়ি দশমিনা যাওয়ার পথে উলানিয়া বাজারে পটুয়াখালী-৩ এর সাংসদ এসএম শাহজাদা সাজুর নির্দেশে চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী, গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন শাহের নেতৃত্বে আমার ওপর হামলা হয়’।
সংবাদ সম্মেলনে ডাকুস ভিপি বলেন, হামলায় প্রায় ২০-২৫ জনকে আহত, ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর, দুটি ডিসএলআর ক্যামেরা ও ৮৯ হাজার টাকা ছিনতাই হয়। হামলায় রবিউল, ইব্রাহিম, জাহিদ, রিয়াজ ও আমিসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হই।
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা হামলা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, আমাকে চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত করেছে। সন্ত্রাসীরা এবং পুলিশ আমাকে জোর করে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য আমাকে ও আমার পরিবারকে নিয়মিত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। নুর বলেন, এ পর্যন্ত আটবার ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হাতে হামলার শিকার হয়েছি’।
বিএস
