টিএসসির নতুন নকশায় থাকছে না পুরনো ভবন

জাগরণ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২১, ০১:৫৮ পিএম টিএসসির নতুন নকশায় থাকছে না পুরনো ভবন

টিএসসির নতুন নকশায় পুরনো ভবন অক্ষুণ্ন থাকছে না। পুরো জায়গাটিকে বিবেচনায় নিয়ে খোলামেলা জায়গা তৈরি করে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, পরিবেশবান্ধব এবং গুণগত মানসম্পন্ন টিএসসির নকশা তৈরিতে গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের, পরিবেশবান্ধব এবং গুণগত মানসম্পন্ন নতুন নকশা বানাতে স্থাপত্য অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

তাদের সর্বশেষ তৈরি করা নকশা দেখতে গত মঙ্গলবার (২৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানসহ কয়েকজনকে ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

এ বিষয়ে উপাচার্য ড. মো আখতারুজ্জামান বলেন, ‘‘টিএসসির প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুরু থেকেই বিশেষ আবেগ এবং আকর্ষণ রয়েছে। স্থাপত্য অধিদপ্তরের তৈরি করা টিএসসির নকশা দেখতেই সেদিন প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডেকেছেন। নকশাটি দেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কয়েকটা নির্দেশনা দিয়েছেন।’’

উপাচার্য বলেন, ‘‘টিএসসিতে মেয়েদের জন্য একটি সুইমিং পুলের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি বলেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যানে মেয়েদের জন্য স্বতন্ত্র খেলার মাঠ এবং সুইমিং পুল আছে। উনি শুনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাই টিএসসিতে সুইমিং পুল না করতে বলা হয়েছে। টিএসসিতে অবস্থিত গ্রিক মনুমেন্ট, টেম্পল যেন আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে, সেজন্য এগুলোকে অত্যন্ত ভালোভাবে সংরক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এটিই আমাদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখবে।’’

ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মো. সামাদ। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর যে রুচি এবং আধুনিক স্থাপত্যকলা সম্পর্কে তার যে ধারণা, অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান সময়ের যে চাহিদা- সব মিলিয়েই উনি টিএসসি করতে চান। প্রধানমন্ত্রী সেভাবেই অগ্রসর হচ্ছেন। সেটি করলেই ছাত্র-শিক্ষক সকলের জন্য সুন্দর হবে।’’

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ভবনটিকে তিনি আধুনিক ভবন হিসেবে দেখতে চান। সেই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভবনের নকশা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হয়। টিএসসিকে নতুন করে গড়ার লক্ষ্যে সরকারের গণপূর্ত অধিদপ্তর কাজ করছে।