জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তা কর্মীকে মারধর করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক ছাত্রলীগ কর্মী।
শনিবার (১২ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমবাগান সংলগ্ন ফটকে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী হলেন মনোয়ার হোসেন হিমেল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আমবাগান গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী। এসময় ফটকের দুটো অংশ খুলে দিতে নিরাপত্তা কর্মীকে নির্দেশ দেন ছাত্রলীগ কর্মী মনোয়ার হোসেন হিমেল। তবে গেটের দু অংশ খোলা যাবে না বলে জানান কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মী ফয়সাল কবির। এসময় গেট খুলতে বাধ্য করতে নিরাপত্তা কর্মীকে মারধর করা শুরু করেন ছাত্রলীগ কর্মী হিমেল। পরে গেট খুলে দেওয়া হলেও আরো লোকজন নিয়ে নিরাপত্তা কর্মী ফয়সালকে মারধর করতে আসেন হিমেল। এসময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও একাধিক শিক্ষকদের উপস্থিতিতে তাৎক্ষণিক সমাধান করে দেওয়া হয়।
এদিকে মারধরের বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মারধরের শিকার নিরাপত্তা কর্মী মো. ফয়সাল কবির। তিনি বলেন, “গেটের দুই অংশ খুলে দিতে বলার পর আমি তাকে বললাম যে একটি অংশ খোলা যাবে। কিন্তু হঠাৎ করে তিনি আমার বাবা মাকে নিয়ে গালাগালি শুরু করে এবং মারধর করেন। আমি সাথে সাথে আমার ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদেরকে জানিয়েছি। এছাড়া রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।”
ছাত্রলীগ কর্মী মনোয়ার হোসেন হিমেল বলেন, “আমি ক্যাম্পাসে ঢুকতে চাইতেছিলাম, তখন গেটের একটা অংশ খোলা ছিলো। আমি গার্ডকে বললাম গেটের দুই অংশ খুলে দিতে। কিন্তু সে খুলেনাই, পরে আমার মাথা গরম হয়ে গেছিলো। তখন একটা থাপ্পড় দিয়ে ফেলেছি।”
সহকারী রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) জেফরুল হাসান চৌধুরী সজল বলেন, “আমবাগানের গেটটা বন্ধ রাখার নির্দেশ আছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী এসে গেটের পুরো অংশ খুলে দিতে বলে গার্ড একটা অংশ খুলে দিলে হঠাৎ করেই সে গার্ডের ওপর চড়াও হয়, মারধর করে। আমরা রেজিস্ট্রার, প্রক্টরকে জানিয়েছি। তার যথাযথ শাস্তি দাবি করছি।”