প্রশ্ন ফাঁস চক্রে জড়িত রাবি ডিন

রাজশাহী প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২, ১০:৫১ এএম প্রশ্ন ফাঁস চক্রে জড়িত রাবি ডিন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারীজ বিভাগের মাস্টার্স-২০২০ এর চলমান পরীক্ষার একটি কোর্সের (এফএমএমসি-৬৪১) প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক স্টোরিতে এই প্রশ্নপত্র শেয়ার করেছেন ওই বিভাগের শিক্ষক এবং পরীক্ষা কমিটির সদস্য ইসতিয়াক হোসাইন। এ ঘটনায় পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান মন্ডল।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রশ্নপত্র ফাঁসের স্ক্রিনশর্ট সংবাদকর্মীর হাতে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী এধরণের ঘটনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। অপরাধের ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে সাসপেন্ড, অর্থদন্ডসহ আইনত ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রয়েছে।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ইসতিয়াক হোসেন বলেন, পরীক্ষা এবং প্রশ্নপত্রের বিষয়টি অনেক স্পর্শকাতর বিষয়। এ বিষয়ে পরীক্ষা কমিটির সভাপতির অনুমতি ব্যতিত তিনি কোন কথা বলতে রাজি নন।

চলমান প্রশ্নপত্র মোবাইল ফোনে সংরক্ষণের বিষয়টি কতটুকু যৌক্তিক এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান মন্ডল বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি তার সাথে কথা বলেছি। বিষয়টি অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় আমরা সেই প্রশ্নপত্র বাতিল করে পরীক্ষা স্থগিত করেছি।

প্রশ্নপত্র মোবাইলে সংরক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরীক্ষার বিষয়গুলো খুবই স্পর্শকাতর। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গোপণীয়তা রক্ষা করা পরীক্ষা কমিটির দায়িত্ব। তিনি এটা লঙ্ঘন করেছেন। এটা অবশ্যই একটি অপরাধ।

তিনি বলেন, রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিলো। আমরা পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা জরুরি মিটিং করে এই প্রশ্নপত্র বাতিল করেছি। আপাতত ওই পরীক্ষা স্থগিত। এরই মধ্যে নতুন করে প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষা নেয়া হবে।

জানতে চাইলে ফিশারীজ বিভাগের সভাপতি এম মনজুরুল আলম বলেন, পরীক্ষার সার্বিক বিষয় দেখাশুনা করেন পরীক্ষা কমিটি। তবে, আমি বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি ভুলবশত হয়েছে। কিন্তু, প্রশ্নপত্র মোবাইলে সংরক্ষণ করা তার উচিত হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো: আলমগীর হোসেন সরকার বলেন, এ বিষয়ে বিভাগ থেকে অফিসিয়ালি আমাদেরকে জানানো হয়নি। এ বিষয়ে বিভাগ থেকে জানানো হলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এবিষয়ে আমাদেরকে এখনও জানানো হয়নি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি গুরুতর অপরাধ। বিষয়টি আমাদের নিকট আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জাগরণ/আরকে