পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বাড়তি উত্তাপ ছড়াচ্ছেন টলিউড নায়িকাদের প্রার্থী হওয়া। তালিকায় রয়েছেন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী, পায়েল সরকার, সায়ন্তিকা ব্যানার্জী, সায়নী ঘোষ, কৌশানী মুখার্জি, তনুশ্রী চক্রবর্তীর মতো জনপ্রিয় নায়িকারা।
বেহালা পশ্চিম থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী। একই দলের হয়ে বেহালা পূর্ব আসনের লড়াই করছেন পায়েল সরকার। হাওড়ার শ্যামপুর আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী তনুশ্রী চক্রবর্তী। বাঁকুড়া আসন থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন সায়ন্তিকা ব্যনার্জী। কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী কৌশানী মুখার্জি। সায়নী ঘোষও তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন দক্ষিণ আসানসোল কেন্দ্রের।
এই ছয় নায়িকা এখন চষে বেড়াচ্ছেন নিজ নিজ এলাকা। সবাই জয়ের বিষয়ে প্রচণ্ড রকমের আত্মবিশ্বাসী। প্রত্যেকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চান।
শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী জানালেন, বিধায়ক হলে মানুষের দোরগোড়ায় গিয়ে শুনবেন সমস্যার কথা। সমাধান করবেন সাধ্যমতো।
শ্রাবন্তী বলেন, “সিনেমায় অভিনয় করে অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আমার ভক্তদের কারণে আজ আমি শ্রাবন্তী হয়েছি। এবার সুযোগ এসেছে তাদের জন্য কিছু করার। আমার দল আমার ওপর ভরসা করে প্রার্থী করেছে। আমি দলের সেই ভরসার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে চাই। প্রচারণায় নেমে যা দেখছি, মানুষ পরিবর্তন চায়। সেই চাওয়া থেকেই বেহালা পশ্চিমের মানুষ আমাকে বিজয়ী করবে বলে বিশ্বাস করি।”
পদ্মবনে ঝংকার তুলেছেন পায়েল সরকার। তিনিও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে চান। জানালেন, বিরোধী শিবিরের শত বাধা এলেও জয় আসবেই। পায়েল বলেন, “গত ১০ বছরে তৃণমূল সরকার পশ্চিমবঙ্গকে অনেকটা পিছিয়ে দিয়েছে। মানুষ সেটা বুঝে গেছে। তাই তো তারা বাংলার মাটিতে আর তৃণমূলকে দেখতে চায় না। বিজেপি আমার ওপর যেমন ভরসা করেছে, আমি জানি আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ আমার ওপর ভরসা রাখবেন।”
তবে পায়েল সরকারের ঠিক উল্টো কথা বললেন তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা ব্যানার্জী। তার মতে, গত ১০ বছরে রাজ্যে তৃণমূল সরকার অভাবনীয় উন্নতি করেছে।
সায়ন্তিকা বলেন, “চাপ নয়, উত্তেজনা হচ্ছে। মানুষের কাছে আশীর্বাদ নিচ্ছি। মানুষের হাসিমুখ দেখছি। আমার মনটা ভালো আছে। লড়াই যত কঠিন হবে, জিতে তত বেশি মজা। সেই লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসবে তৃণমূল।”
এদিকে নির্বাচনে জয়ী হলে নারী উন্নয়ন নিয়ে কাজ করতে চান তৃণমূলের আরেক প্রার্থী কৌশানী মুখার্জি। তিনি বলেন, “আমি কী পাব, কতটা জায়গা পাব—সবটাই ভবিষ্যতের ওপর নির্ভর করছে। মেয়েরা যেন যথাযথ সম্মান পায়। বাচ্চারা যেন সমাজে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষত নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা করার, আমি করতে চাই।”
ইতিমধ্যে বিধানসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফা ভোট সম্পন্ন হয়েছে। আরও কয়েক দফা ভোটের পর ২ মে শুরু হবে ভোট গণনা। তখনই জানা যাবে নায়িকাদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে কাদের মুখের হাসি ফোটে। তত দিন পর্যন্ত কেবল অপেক্ষা।